Home সারাদেশ চর জেগেছে ব্রহ্মপুত্রে, কর্মহীন তিন হাজার জেলে

চর জেগেছে ব্রহ্মপুত্রে, কর্মহীন তিন হাজার জেলে

by Mesbah Mukul

ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে নৌকা মেরামত করে তারা জীবিকা নির্বাহ করতেন জয়নাল আবেদীন পেশায় নৌকার কারিগর। নদীর পানি কমে যাওয়ায় কর্মসংস্থান হারিয়ে এখন পথে বসেছেন। তার মত জীবিকা নির্বাহ করা প্রায় ৩ হাজার জেলে পরিবারে একই দূদর্শা চলছে।

নদী ঘুরে দেখা যায় নয়ারহাট, অষ্টমীরচর, চিলমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চল ও ব্রহ্মপুত্রের বুকে পানি নেই। যেদিকে চোখ যায় শুধু বালু আর বালু। নদীতে যেটুকু পানি আছে সেখানেও ছোট-বড় অসংখ্য চর জেগে ওঠায় নৌ যোগাযোগ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন শাখা নদীর মাধ্যমে ঘুর পথে কোনো কোনো রুটে নৌকা চলাচল করলেও সব এলাকায় চলাচল করা যাচ্ছে না। অনেক নৌ- রুট ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।

ব্রহ্মপুত্রের রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ মাঝিপাড়া এলাকার স্থানীয়রা বলেন, জানিনা কবে নাগাদ আবার ব্রহ্মপুত্রের বুকে পানি থৈ থৈ করবে। পানি শুকিয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র যেন হয়েছে মরুদ্যান।

নয়ারহাট ইউনিয়নের গয়নাল পটল এলাকার কৃষক ইউসুফ বলেন, বোরো আবাদের মূখ্য সময়ে চিন্তিত চরাঞ্চলের কৃষকরা। শুধু তাই নয় চর এলাকার মানুষের চলাচল এখন হাঁটা পথে। এ জন্য তাদের দূর্ভোগেরও শেষ নেই। চলতি মৌসুমে সরকারি বা কোন বে-সরকারি সংস্থা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বালুর চরে চাষ আবাদের জন্য সাহায্য সহযোগীতা করতো তাহলে চরাঞ্চলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘব হতো।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সাধারণত নভেম্বর মাস থেকে নদীতে পানি কমতে শুরু করে। কিন্তু এবার কম বৃষ্টিপাতের কারণে অক্টোবরের শেষ দিক থেকেই নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী মার্চ থেকে আবারো নদীর পানি বৃদ্ধি শুরু করবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকরর্তা প্রণয় কুমার বিষান দাস জানান, কষ্টকর হলেও চলতি মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের বিভিন্ন এলাকায় যেখানে পানি আছে সেখানে কৃষকরা বোরো চাষ করছে।

তিনি আরো জানান, বালু চরেও বিভিন্ন ফসল ফলানো সম্ভব আমরা কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে চলতি মৌসুমেও যেন কোন চর কিংবা বালুর চর অনাবাধি না থাকে।

ভয়েসটিভি/এমএম

You may also like