Home বিনোদন চলচ্চিত্র অঙ্গনে সাড়ে ৩শ’কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

চলচ্চিত্র অঙ্গনে সাড়ে ৩শ’কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

by Newsroom

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা সংক্রমণের কারণে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে ক্ষতি প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকা। ক্ষতি পুষিয়ে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে সরকারি প্রণোদনা চেয়েছেন অভিনয় শিল্পীরা। পরিচালক ও প্রযোজকরা বলছেন, রাষ্ট্রীয় অনুদানে বছরে কমপক্ষে একশটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা গেলে ঘুরে দাঁড়াবে এই শিল্প।

গত ৫ মাস আগেও চলচ্চিত্রের ধুমধারাক্কা শুটিং হয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছিল প্রতিটি সিনেমা। দিনরাত ব্যস্ত ছিলেন শিল্পী, কলাকৌশলী ও সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু করোনায় থমকে গেছে সবকিছু। গত ১৮ মার্চ থেকে শুটিং বন্ধ। নেই গান বাজনা হৈ-হুল্লোড় আর ছুটোছুটির শুটিং। তাই এ থেকে বাদ যায়নি দেশের চলচিত্র শিল্পও।  কাজ হারিয়ে দিশেহারা চলচিত্রের সঙ্গে জড়িত অসংখ্য কর্মী।

বিষয়টি নিয়ে চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহি বলেন, অনেকেই আছেন যারা তাদের বাড়ি ভাড়া দিতে পারছেন না। সন্তানদের স্কুলের বেতন দিতে পারছেন না। আর্থিক কষ্টের কারণে অনেকে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এই রকম একটা অবস্থায় চলচ্চিত্র খাতে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই চলচিত্র শিল্প বাঁচাতে, আমাদের বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ, এই খাতকে বাঁচাতে একটা প্রণোদনার ব্যবস্থা করে দেন। তাহলে আমরা বাঁচবো, চলচিত্র বাঁচবে।

চলচিত্র শিল্পিরা বলছেন, দেশের সৃজনশীল ও বিনোদনের প্রধান এই মাধ্যমকে বাঁচাতে দরকার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, হাত পাততে পারছে না মানুষের কাছে। যারা শিল্পি তারা একটু অভিমানি হয়। নিজের পার্সোনালিটি একটু থাকে। এই মানুষগুলোকে যেন অনতিবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে টাকা পয়সা বরাদ্দ করা হয় আমাদের সমিতির মাধ্যমে হোক অথবা সরাসরি হোক।

আগে সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় বছরে ২৫টির মতো অনুদানের ছবি নির্মাণ হতো। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দাবি, করোনার ধকল কাটাতে সরকারি অর্থায়নে বছরে কমপক্ষে ১০০টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ৫০০ কোটি টাকা যদি চলচ্চিত্রের জন্য সরকার ব্যয় করে তাহলে চলচ্চিত্রটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে। চলচ্চিত্রটা চলচ্চিত্রের মত আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে।

এদিকে প্রযোজক সমিতির দাবি, সিনেমায় বিনিয়োগ করা বিপুল অর্থ অলস পড়ে থাকায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। তাই করোনা শেষে সরকারি অনুদানে সিনেমা বানানো হলে নির্মাণের দায়িত্ব প্রযোজক সমিতিকে দিতে হবে।

চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা প্রযোজকদের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ছবির ওপর প্রণোদনা দিতে হবে।

সম্পাদনা : আমির সোহেল/দেলোয়ার

You may also like