চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ষষ্ঠ পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি বুধবার সকাল ৮টায় নগরীর ৭৩৫টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সব কয়েকটি কেন্দ্রে এবারই প্রথমবার ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। ৭৩৫টি কেন্দ্রের ৭৬৪টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির দুই প্রার্থী ছাড়াও এবার চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আরো পাঁচ প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে, ৩৯টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৩৭ জন। এবারের ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১৭টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। এ ছাড়া নগরজুড়ে দিনব্যাপী রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারির আওতায়।
২০২০ সালের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে নির্বাচনের আট দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ভোটের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
নানা উৎকণ্ঠা ও উত্তেজনার এ ভোটে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ও ধানের শীষের ডা. শাহাদাত হোসেনের মধ্যে। সব কয়েকটি কেন্দ্রে এবারই প্রথমবার ইভিএমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়াও আরও পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আবুল মনজুর, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী।
তবে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি মেয়র পদে কোনো প্রার্থী দেয়নি। পাশাপাশি কোনো প্রার্থীকে সমর্থনও দেয়নি দলটি।
এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে ৪০টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৭২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ কাউন্সিলর পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. হারুন উর রশীদ।
অন্যদিকে ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিমের মৃত্যুর কারণে এ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোট হচ্ছে না। তবে মেয়র ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪১০টিই ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি ৩২৫টি কেন্দ্রকে ‘সাধারণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংঘাত এড়াতে ২৫ হাজারের বেশি পুলিশ, বিজিবি, র্যাব এবং আনসারের সমন্বয়ে কেন্দ্রভিত্তিক চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
ভয়েস টিভি/এমএইচ