Home লাইফস্টাইল চিনির মোহ এড়াবেন যেভাবে

চিনির মোহ এড়াবেন যেভাবে

by Mesbah Mukul

মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন যারা চিনি তাদের প্রিয় উপকরণ। তবে মাত্রাতিরিক্ত চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। চিনির ব্যবহার খাবারে যত কম হবে, ততই মঙ্গল।
চিনির প্রতি অনেকের তীব্র মোহ থাকায় স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে অনেক বেশি চিনি খেতেও ভালো লাগে তাদের। এ ছাড়া চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার সঙ্গে মানসিক বিষয়েরও কিছুটা সম্পর্ক রয়েছে। যদিও সাদা চিনির ক্ষতিকর দিক অনেক তীব্র।

প্রাপ্তবয়স্ক একজন পুরুষ দিনে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে পারবেন ৯ চা-চামচ। মেয়েদের ক্ষেত্রে সেটি ৬ চা-চামচ। চিনি খাওয়ার মোহ বেশি থাকলে হঠাৎ কমিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে কৌশলে পরিবর্তন আনতে পারেন, পরামর্শ দিলেন পারসোনা হেলথের প্রধান পুষ্টিবিদ শওকত আরা সাঈদা।

যে ধরনের খাবার খাবেন:
চিনির প্রতি তীব্র মোহ কমাতে চিনির বিকল্প বেছে নিতে হবে। সাদা চিনি খাওয়া একেবারেই বাদ দিন। লাল চিনি সাদা চিনির থেকে কম ক্ষতিকর। এ ছাড়া মিষ্টি ফল, ফলের সালাদ বা কাস্টার্ড ভালো সমাধান। খেজুর, মধু, গুড়, কিশমিশ খেয়েও কিন্তু মিষ্টির মোহ কমাতে পারেন, যা ততটা ক্ষতিকরও নয়।

তবে কৃত্রিম চিনি কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক চিনি, যেমন স্টিভা নামের একধরনের পাতা খেতে পারেন, যা চিনির স্বাদ দেবে কিন্তু চিনির মতো ক্ষতিকর নয়।

অনেক সময়ে গর্ভকালে বা মানসিক অবস্থার কারণে চিনির প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয়।

মন খারাপ হলে অনেকেই চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া শুরু করেন। মন ভালো রাখতে এটি অনেকের কাছে প্রচলিত উপায়। কিন্তু ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট এ্যানি বাড়ৈ বলেন, মন খারাপ হলে মিষ্টি খাওয়া কোনো সমাধান নয়। মিষ্টি আমাদের শারীরিক শক্তি এনে দেয়, অনেক ক্ষেত্রে মনে হয় তা মন ভালো করছে। এটি খুবই অস্থায়ী অনুভূতি, যা সাময়িক ভালো লাগা দিতে পারে। উল্টো এতে শারীরিক ক্ষতি হয় মারাত্মক। মনের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো নয়। তাই চিনির প্রতি মোহ কমাতে বেশ কিছু বিষয় চর্চা করা যেতে পারে। এতে মনও অনেক ক্ষেত্রে ভালো হয়। তবে ব্যক্তিবিশেষে উপায়গুলো আলাদা হতে পারে।

পানি পান:
চিনির প্রতি মোহ হতে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস পানি পান করতে পারেন। এই উপায় অনেক ক্ষেত্রে সাহায্য করে।

ফল খাওয়া:
চিনির বদলে ফল খেয়ে চিনির মোহ কমাতে পারেন। এতে ধীরে ধীরে মোহ কাটবে।

আমিষ খাওয়া:
চিনি যেহেতু শক্তি দেয়, তাই এর বিপরীতে আমিষ খেতে পারেন। চিনি খাওয়ার পর যে অনুভূতি হয়, তার অনেকটাই পাওয়া যায় আমিষ খাওয়ার পর।

ঘুম:
মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। চিনি না খেয়ে মন যেন ভালো থাকে, সে চেষ্টাই করতে হবে প্রথমে।

আরও পড়ুন : গুড় না মধু : কোনটি ওজন কমাতে বেশি কার্যকর?

ভয়েসটিভি/এমএম

You may also like