Home সারাদেশ চিলমারীতে সাংবাদিককে হুমকীর তদন্তে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন!

চিলমারীতে সাংবাদিককে হুমকীর তদন্তে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন!

by Newsroom
উলিপুরে

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সাংবাদিক নাজমুল হুদা পারভেজকে প্রাণনাশের হুমকিসহ বাড়ি-ঘর, মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগের পুলিশি তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তকারী অফিসারসহ চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তার প্রতিফলন ঘটেনি।

উল্টো তদন্তকারী অফিসার এক আসামিকে মামলা থেকে বাদ দেয়ার জন্যে  বাদীকে আকার ইঙ্গিতে সুপারিশ করেন। বাদীর আপত্তি থাকা স্বত্বেও অজ্ঞাত কারণে সেই সুপারিশকৃত আসামিকেবাদ দিয়ে কোর্টে তদন্ত রিপোর্ট প্রেরণ করায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের নয়াবাড়ী ও ডাওয়াইটারী গ্রামের কৃষকরা তাদের জমিতে চাষাবাদেও জন্য যুগ যুগ ধরে একটি মাটির রাস্তা ব্যবহার করে আসছে। উক্ত রাস্তার শেষে অবস্থিত কবরস্থানে মরদেহ দাফনসহ কৃষি জমিতে যাতায়াতে বিকল্প কোনো রাস্তা নেই।

সম্প্রতি মৃত জব্বার আলীর পুত্রগণ হঠাৎ রাস্তার মাঝ বরাবরে একটি টিনের ঘর তুলে চারপাশে টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। গত ০৬ সেপ্টম্বর সাংবাদিক নাজমুল হুদা পারভেজ চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জনস্বার্থে রাস্তাটি উন্মুক্ত করণের জন্যে একটি আবেদন করেন।

এতে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। গত ১৩ নভেম্বর শুক্রবার বনবিভাগ জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে সাংবাদিক পারভেজ মসজিদ থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে মৃত জব্বারের দুই নাতি মোশারফ হোসেন মুরাদ ও মাসুম বিল্লাহ তার উপর চড়াও হয় এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার চেষ্টা চালায়।

এসময় তাদের বাবা মোকবুল হোসেন, চাচা মোখলেছুর রহমান, মোন্নাফ আলী ও মোকছেদ হোসেন ওই সাংবাদিকের বাসার গেটের সামনে এসে বাড়ি- ঘর ও মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক চিলমারী মডেল থানায় ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডাইরী করেন।

জিডির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় চিলমারী মডেল থানার এসআই ইসমাইল হোসেনের উপর। তিনি নিরপেক্ষ তদন্ত না করেই বাদীর আপত্তি থাকা স্বত্বেও অজ্ঞাত কারণে মোন্নাফ আলীকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে সাংবাদিক নাজমুল হুদা পারভেজ জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইসমাইল হোসেন কোনো আসামি বাদ দিতে পারেন না। কিন্তু তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আসামি বাদ দিয়েছেন। আমি তদন্ত থেকে তার অপসারণের দাবি করছি এবং পুনরায় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন অভিযুক্ত আসামি মোন্নাফ আলীর নাম বাদ দেয়া হয়েছে কি না আমার জানা নেই। ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে ৫০৬ (২) ধারায় দোষীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।

আরও পড়ুন : কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হুমকির মুখে নির্মিত আশ্রয়নকেন্দ্র

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like