চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সেলিম খান চাঁদপুরের সর্বোচ্চ করদাতা পুরস্কার ও সম্মাননা গ্রহণ করেছেন। ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কুমিল্লার বিশ্বরোডস্থ হোটেল নূরজাহান হলরুমে কুমিল্লা কর অঞ্চলের আয়োজনে শ্রেষ্ঠ করদাতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এ সম্মননা গ্রহণ করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কুমিল্লা-৭ নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোঃ আলী আশ্রাফ।
এর আগে জেলা ভিত্তিক সর্বোচ্চ ও দীর্ঘ সময় আয়কর প্রদানকারী করদাতাদের পুরস্কার প্রদান নীতিমালা-২০০৮ এর বিধান অনুযায়ী ২০১৯ ও ২০২০ কর বছরে সিটি কর্পোরেশন ও জেলা পর্যায়ে ৫শ’’ ২৪ জন সেরা করদাতার নাম প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে জেলা ভিত্তিক সর্বোচ্চ কর প্রদানকারীদের মধ্যে মোঃ সেলিম খান ছিলেন।
সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী মোঃ সেলিম খান চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের এক দশকের সফল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। একই সঙ্গে তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া ও শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার। তিনি ২০১৯ ও ২০২০ করবর্ষে সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী ৩ জন করদাতার মধ্যে অন্যতম।
এ বছর ৪টি ক্যাটাগরিতে সেরা করদাতাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী, দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারী, ৪০ বছর বয়সের নিচে তরুণ সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী ও ২০১৯-২০ করবর্ষে সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী মহিলা করদাতা।
আরও পড়ুন : চাঁদপুরের সেরা করদাতা চেয়ারম্যান সেলিম খান
সেলিম খান দেশের খ্যাতনামা প্রযোজক হিসেবে বিগ বাজেটের বেশকিছু ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন। একই সঙ্গে শাপলা মিডিয়া সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে দেশব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
‘আগস্ট ১৯৭৫’ এবং ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ চলচ্চিত্র দুটি ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির আলোকে নির্মাণ করা হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র। ২০১৭ সাল থেকে শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সবসময়ই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে চলা চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত একটি নাম।
মহামারি করোনায় যখন চারদিকে লকডাউন এবং প্রতিদিনই বেড়েছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা। তখন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনেও নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রযোজক শূন্য হয়ে পড়ায় নিদারুণ কষ্টে পড়ে অসংখ্য শিল্পী-কলাকুশলী। তখন প্রযোজক সমিতিতে ছয়টি চলচ্চিত্রের নাম এন্ট্রি করে শুটিং এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখে শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল।
সারাদেশের হলগুলো (প্রেক্ষাগৃহ) সক্রিয় করার জন্যে সরব ছিলেন শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার সেলিম খান। চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচাতে সবসময়ই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের পাশে দাঁড়িয়েছেন এই প্রযোজক ও পরিচলক।
ভয়েস টিভি/ডিএইচ
