চলতি বছর জনপ্রতি ফিতরা সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক আটা, যব, গম, কিশমিশ, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যের যেকোনো একটি দ্বারা ফিতরা দেয়া যায়। দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা,যব,গম, কিসমিশ, খেজুর ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজারমূল্যের ভিত্তিতে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজারমূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারবেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলছে, আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ৭০ টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ২৭০ টাকা, গম দিয়ে আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ৭০ টাকা, কিসমিশ দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ১ হাজার ৫০০ টাকা, খেজুর দিয়ে করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা, পনির দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ২ হাজার ২০০ টাকা দিতে হবে।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. মিজানুর রহমান, শোলাকিয়া ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের প্রধান ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসউদ, জাতীয় মুফতি বোর্ডের সদস্যসচিব মো. নূরুল আমীনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
