বন্যা পরবর্তী পানি নিষ্কাশনে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে টাঙ্গাইল জেলার নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার একর কৃষি জমি। এতে হুমকিতে পড়েছে চাষাবাদ। তবে জেলা কৃষি বিভাগের কাছে এ ধরনের কোন তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলার খামারবাড়ির উপপরিচালক আহসানুল বাসার।
জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, বন্যার পানিতে কৃষি জমি ডুবে রয়েছে। সবদিকেই শুধু বন্যায় ভেসে আসা কচুরি পানা। আগাম শীতকালীন সবজি আর বোরো ধানের বীজতলায় এখন আগাছা ও কচুরিপানায় ভর্তি। কিন্তু পানি দ্রুত নেমে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার শঙ্কা করছেন কৃষকরা।
পাঁচ দফার বন্যায় টাঙ্গাইল সদর, বাসাইল, কালিহাতী, ভূঞাপুর ও নাগরপুরসহ ১১ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় এই জলাবদ্ধতা বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা গেছে।
কৃষকরা জানান, জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হলে ভয়াবহ হুমকিতে পড়বে এ অঞ্চলের চাষাবাদ। প্রভাব পড়বে সামাজিক জীবনেও। তাই দ্রুত সমাধান চান তারা।
ভুক্তভোগী কৃষক মুবারক হোসেন বলেন, যে পানি আছে তা চৈত্রমাসেও শুকানোর সম্ভাবনা নেই। এবার আমন, সরিষাসহ কোনো সবজি চাষ করা গেল না। এছাড়া বন্যার পানিতে আসা কচুরিপানাগুলো যে কিভাবে সরাবো সেই দুশ্চিন্তায় আছি।
ভুক্তভোগী ওসমান নামে আরেকজন কৃষক জানান, পানি বের হওয়ার কোন জায়গা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চাষাবাদ করার কোন উপায় নেই। ইরি মৌসুমে যদি বীজ বপন করতে না পারি তাহলে এবার ধান আবাদ করা যাবে না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলার খামারবাড়ির উপপরিচালক আহসানুল বাসার জানান, গেল দু’বারের ভয়াবহ বন্যায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে ফসলের। কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা দেয়ার পর কৃষকরা সে ক্ষতি পুষিয়ে উঠেছে। ফলে রোপা আমনে লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে। অন্য ফসলেও লক্ষমাত্রা অর্জনে তেমন প্রভাব পড়বে না।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, কয়েক দফার বন্যায় নদী ও খালে অতিরিক্ত পলি জমার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ভয়েস টিভি/এমএইচ