Home সারাদেশ টানা বর্ষণে রংপুর নগরীতে জলাবন্ধতা; জনদুর্ভোগ চরমে

টানা বর্ষণে রংপুর নগরীতে জলাবন্ধতা; জনদুর্ভোগ চরমে

by Newsroom
জলাবন্ধতা

টানা বর্ষণে রংপুর নগরীর ৩৩ টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকাতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। পানি নিষ্কাষন ব্যবস্থা না থাকা এবং ড্রেণ নির্মাণে ধীরগতি হওয়ায় নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। অল্পবৃষ্টিতেই পাড়ায় পাড়ায় হাটু পানি হলেও নগর ভবন বলছে, দ্রুত এই সমস্যার অবসান হবে। তবে, আস্থা নেই নগরবাসীর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধা থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয় রংপুরে। কখনো মুষলধারে কখনো রিমঝিম। এই বৃষ্টিতে নগরীর কামাল কাচনা নতুন পাড়া, গুঞ্জনমোড় কল্যাণ সংসদ স্কুল সড়ক, মুলাটোল, কোতয়ালি থানা সংলগ্ন সড়ক, নিউ জুম্মাপাড়া, আলমনগর, নিউ জুম্মাপাড়া, দর্শনা, মর্ডান মোড়, আদর্শপাড়া, বাবু পাড়া, মাহিগঞ্জ, মাহিগঞ্জ চাল আড়ৎ সড়ক, আমাশু কুকরুল এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

কোন কোন এলাকার সড়কে এত বেশী পানি হয়েছে যে বাসা থেকে বেরই হওয়া যাচ্ছে না। ফলে মাত্র এক দিনের বৃষ্টিতে রংপুর নগরীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, গেল ১০ ঘণ্টায় ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

কামালকাচনা গুঞ্জনমোড় এলাকার বাসিন্দা আবুল আলম মোস্তফা ভয়েস টিভিকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা নাকাল। একটু বৃষ্টি হলেই মুল সড়ক থেকে কল্যাণ সংসদ স্কুল যাওয়ার রাস্তায় হাঁটুর উপড়ে পানি উঠে যায়। এর কারণে রাস্তার দু পাড়ের কয়েক’শ পরিবার বাসা থেকে বের হতে পারেন না।

মোস্তফা আরও জানান, এই অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে হলেও কোন কার্যকর উদ্যোগ নেই। অমরা এ নিয়ে এলাকাবাসী অনেকবার কথা বলেছি, শুধু আশ্বাস ছাড়া কোন কিছু মেলেনি। তাই সেই আশ্বাসও ছেড়ে দিয়েছি। যখন কাজ হয় হবে। আমরা দুর্ভোগ পোহাতেই থাকি, ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

নগরীর মাহিগঞ্জ চাল আড়ৎ এলাকাবার বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম ভয়েস টিভিকে জানান, এখানে রংপুরেদর সবচেয়ে বড় পাইকারি চালের আড়ৎ। রংপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার মানুষ এখানে চাল কিনতে আসে। কিন্তু সড়কে পানি জমে থাকায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। আমরা অনেকবার বলেছি রাস্তা সংস্কার এবং ড্রেণ নির্মাণ করতে। কিন্তু হচ্ছে না।

তিনি আরও জানান, নগরীর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানা সংলগ্ন সড়কটি আরো বেহাল অবস্থা। এই সড়কটিতে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সংস্কার তো নেই। বরং তার উপর টানা বর্ষণে হাটুর উপড়ে পানি জমেছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলরত মানুষদের সবথেকে বেশী দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে ভয়েস টিভিকে তিনি জানান, নগরীর ভেতরে অনেক উন্নয়ন কাজ চলছে। চলছে ড্রেণ নির্মাণ কাজও। এই কাজগুলো শেষ হলে নগরীতে আর কোন জলাবদ্ধতা থাকবে না। ততদিন একটু কষ্ট হবার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, আশা করছি নগর উন্নয়নের জন্য নগরবাসী আমাকে সহযোগিতা করবে।

ভয়েস টিভি/টিআর

You may also like