ভয়েস রিপোর্ট: দেশে ভূমির মালিকানার ক্ষেত্রে ই-নামজারি বাস্তবায়নে সাফল্য অর্জন করায় ‘জাতিসংঘের পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ পেয়েছে সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে তিন পার্বত্য জেলা বাদে সারাদেশে একযোগে শতভাগ ই-নামজারি বাস্তবায়ন শুরু হয়। বর্তমানে ৪৮৫ টি উপজেলা ভূমি অফিস ও সার্কেল অফিসে ও ৩ হাজার ৬১৭ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভহৃমির মালিকানা নিশ্চিত করতে ই-নামজারি বাস্তবায়ন করছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমাকে এক চিঠিতে পুরস্কার পাওয়ার ওই তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি। শুক্রবার রাবাব ফাতিমাকে দেয়া ওই চিঠির বরাত দিয়ে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।
ডেভেলপিং ট্রান্সপারেন্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবল পাবলিক ইন্সটিটিউশস ক্যাটাগরিতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে জাতিসংঘ ওই পুরস্কার দিয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিকে লেখা চিঠিতে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যু ঝেনমিন বলেছেন, জনস্বার্থে সেবা উন্নয়নে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ দেশটির জনপ্রশাসন উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। এই ই-নামজারি অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ হিসাবে কাজ করবে।
প্রতি বছরের ২৩ জুন যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বের সব দেশে জাতিসংঘ দিবসটি উদযাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের সরকারি খাতে গৃহীত সর্বোত্তম উদ্ভাবনী উদ্যোগসমূহকে পুরস্কৃত করা হয়। তারই অংশ হিসেবে ই-নামজারিতে অবদান রাখায় ভূমি মন্ত্রণালয়কে ওই পুরস্কার দেয়া হয়।
বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে জাতিসংঘ আপাতত পুরস্কারর বিতরণ অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে। তবে জাতিসংঘ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ তাদের ওয়েবসাইটে এটি প্রচার করেছে।
এদিকে অ্যাওয়ার্ড পাওয়া উপলক্ষে শনিবার ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এক বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, আইসিটি বিভাগ ও এটুআই প্রকল্পের সহায়তায় ভূমি সংস্থার বোর্ডের মাধ্যমে ই-নামজারি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।