Home সারাদেশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই কাজের মেয়ে আটক

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই কাজের মেয়ে আটক

by Newsroom
অস্ত্রোপচার

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসার ২জন কাজের মেয়েকেে আটক করেছে পুলিশ। তাদের একজন জবেদা ও আরেকজন আরসোলা।

৭ সেপ্টেম্বর সোমবার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ৬ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে উপজেলায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিনাজপুর ডিবি পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে এর আগে শনিবার কাজের মেয়ে জবেদাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।

এ মামলায় আরও যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন- উপজেলার বানিয়াল পালশা গ্রামের মো. শাহজাহান শেখ এবং চক বাসুনিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রামের সোহেল রানা। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান আসামি আসাদুলের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম, একই গ্রামের সুলতান ও শ্যামল চন্দ্রকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

ইউএনওর বড় ভাই শেখ আরিফ হোসেনের করা মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি ওসি ইমাম জাফর। প্রধান আসামিরা হলেন- রংমিস্ত্রী নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার। এ দুই আসামিকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। প্রধান আসামি আসাদুল হক রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন থাকায় সন্ধ্যায় তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকেও রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

গত বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে তার অস্ত্রোপচার হয়েছে।

ওয়াহিদা খানমের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ওয়াহিদার স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি তাঁর কর্মস্থলে ছিলেন।

ভয়েস টিভি/টিআর

You may also like