Home জাতীয় জেনে নিন পদ্মা সেতুর আদ্যোপান্ত

জেনে নিন পদ্মা সেতুর আদ্যোপান্ত

by Amir Shohel

বিশাল কর্মযজ্ঞের পেছনে রয়েছে বহু চ্যালেঞ্জ আর বাধা-বিপত্তির গল্প। ২৫ জুন সকাল ১০টায় এ সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো যা অনেকেই হয়তো জানেন না।

পদ্মা সেতুর প্রকল্পের নাম- পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প।

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য- ৬.১৫ কিলোমিটার, তবে ডাঙার অংশ ধরলে এর দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় প্রায় ৯ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতুর প্রস্থ- চার লেন সড়কের সেতুটির প্রস্থ ৭২ ফুট।

পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন করা হবে- নিচ তলায়।

সেতুতে রেলপথ সংযুক্তির সিদ্ধান্ত হয়- ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি।

পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্টের দৈর্ঘ্য- ৩.১৮ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসন দুই প্রান্তে- ১২ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য- দুই প্রান্তে ১৪ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতু প্রকল্পে মোট ব্যয়- মোট খরচ করা হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩.৩৯ কোটি টাকা।

২১ জুন পর্যন্ত সেতুর সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৯৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর ব্যয় হয়েছে ২৭ হাজার ৭৩২ কোটি ৮ লাখ টাকা।

পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসন ব্যয়- ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট পিলার- ৮১টি।

পদ্মা সেতুর পাইলিং গভীরতা- ৩৮৩ ফুট।

পানির স্তর থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা- ৬০ ফুট।

প্রতি পিলারের জন্য পাইলিং- ৬টি।

পদ্মা সেতুর মোট পাইলিং সংখ্যা- ২৬৪টি।

পদ্মা সেতুর পিলার সংখ্যা- ৪২টি। এই পিলারগুলোতে বসেছে ৪১টি স্প্যান। সেতুর এক ও ৪২ নম্বর পিলার ট্রানজিশন পিলার। এই পিলার দুইটি এক একটি ১৩ তলা সমান উঁচু।

পদ্মা সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট বা সড়কবাতি বসানো হয়েছে।

পদ্মা সেতুতে রেল ছাড়াও আরও রয়েছে- গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার লাইন পরিবহন সুবিধা।

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি থেকে পদ্মা সেতুকে রক্ষা করতে এটি বাঁকিয়ে তৈরি করা হয়। বাঁকা হলে ভূমিকম্পের সময় ব্রিজের সর্বত্র চাপ সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে, সেতু ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

পদ্মা সেতুর নির্মাণ সামগ্রী- কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে।

পদ্মা সেতু প্রকল্পে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির নাম- চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি।

পদ্মা সেতু রাজধানী ঢাকার সাথে সংযোগ স্থাপন করবে- দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার।

পদ্মা সেতু সংযোগ স্থাপন করেছে- মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় ‍ও শরীয়তপুরের জাজিরায়।

সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের সাথে ঋণ চুক্তি হয়েছিল- ১২০ কোটি ডলারের।

২০১৬-১৭ সালে সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির আভিযোগ ওঠায় ঋণচুক্তি প্রত্যাহার করে- বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাইকা।

পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়- ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে।

পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়- ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর।

পদ্মা সেতু দিয়ে কোন রুটে কত ভাড়া
পদ্মা সেতু পার হয়ে যেসব বাস দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৩ রুটে চলাচল করবে তার ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করে গত ৭ জুন বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঢাকা-ভাঙ্গা-মাদারীপুর-বরিশালের ভাড়া হবে ৪১২ টাকা। এছাড়াও ঢাকা-রাজৈর-গোপালগঞ্জের ভাড়া ৫০৪ টাকা, ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনার ভাড়া ৬৪৯ টাকা, ঢাকা-জাজিরা-শরীয়তপুরের ভাড়া ২১৮ টাকা, ঢাকা-বরিশাল-পিরোজপুরের ভাড়া ৫৩৪ টাকা, ঢাকা-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট-পিরোজপুরের ভাড়া ৬২৮ টাকা, ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালীর ভাড়া ৫০১ টাকা এবং ঢাকা-ভাঙ্গা-মাদারীপুরের ভাড়া ৩২৭ টাকা।

এছাড়াও ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনা-সাতক্ষীরার ভাড়া ৬৩৩ টাকা, ঢাকা-ভাঙ্গা-ফরিদপুরের ভাড়া ২৮৮ টাকা, ঢাকা-মাদারীপুর-বরিশাল-ভোলা-চরফ্যাশনের ভাড়া ৬৫৩ টাকা, ঢাকা-বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু-শরীয়তপুরের ভাড়া ২১৯ টাকা এবং ঢাকা-মাদারীপুর-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটার ভাড়া ৬৯৪ টাকা হবে।

/এএস

You may also like