Home জাতীয় গ ণ হ ত্যা র স্বীকৃতি দেয়ায় জেনোসাইড ওয়াচকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধন্যবাদ

গ ণ হ ত্যা র স্বীকৃতি দেয়ায় জেনোসাইড ওয়াচকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধন্যবাদ

by Roman Kabir

একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কর্তৃক সংঘটিত অপরাধযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় জেনোসাইড ওয়াচ এবং লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।

৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার জেনোসাইড ওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. গ্রেগরি এইচ স্টান্টন এবং লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনের কো-ফাউন্ডার ও কো-প্রেসিডেন্ট মিজ এলিসা জোডেন-ফোর্জি এবং মিজ ইরিনে ভিক্টোরিয়া মাসিমিনোর কাছে পাঠানো পৃথক দুটি চিঠির মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠিতে বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী তাদের স্থানীয় দোসরদের সহযোগিতায় পরিকল্পিতভাবে যে ব্যাপক গণহত্যা ও অপরাধ সংঘটিত করেছিল- সেটিকে আপনাদের পক্ষ হতে গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়ে সমব্যথী হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ সান্ত্বনা খুঁজে পেয়েছে।’

চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘২০১৭ সালের ১১ মার্চ তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করা হচ্ছে। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘জেনোসাইড কর্নার’ স্থাপন করেছি।”

আরও পড়ুন : একাত্তরের গ ণ হ ত্যা’কে স্বীকৃতি দিল ‘জেনোসাইড ওয়াচ’

বাংলাদেশের গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের প্রতি জাতীয় সংসদের প্রদত্ত দায়িত্বের কথা চিঠিতে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ’২৫ মার্চ বাংলাদেশের গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে জেনোসাইড ওয়াচ এবং লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনের প্রদত্ত স্বীকৃতি বিশেষ সহায়ক হবে।’

উল্লেখ্য, জেনোসাইড ওয়াচ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কর্তৃক বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর সংঘটিত অপরাধযজ্ঞকে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনও মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালি জাতির ওপরে সংঘটিত অপরাধযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এছাড়া সংস্থা দুটি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যাকে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। গণহত্যা বিষয়ক সংস্থাগুলোর স্বীকৃতির ফলে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সহায়ক হবে।

ভয়েস টিভি/আরকে

You may also like