গাড়ি না চালিয়েই নীলফামারী সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী জ্বালানি (তেল) বাবদ টাকা উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কম্পিউটার ও আনুসাঙ্গিক এবং অন্যান্য মনিহারী খাতেও টাকা উত্তোলন করে নয়-ছয় করার অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের পহেলা জুলাই নীলফামারী সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন গোলাম রব্বানী। অফিসের সরকারি মোটরসাইকেল যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে না চললেও গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত জ্বালানি বাবদ ৩৯ হাজার টাকা উত্তোলন করে পকেটস্থ করেছেন তিনি।
এছাড়া অফিসের চারটি কম্পিউটারের মধ্যে দুটি নষ্ট হলেও চারটির যন্ত্রাংশ ক্রয় বাবদ ৩৪ হাজার ৫’শ টাকা, কম্পিউটার ও আনুসাঙ্গিক খাতে ১৫ হাজার এবং অন্যান্য মনিহারী খাতে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে নাম মাত্র খরচ করেন।
এদিকে করোনাকালে জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ থেকে দরিদ্রদের মাঝে ত্রাণের জন্য ২ লাখ টাকা বিতরণ নিয়েও অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে। ত্রাণ বিতরণে ইউনিয়ন পরিষদের সাথে সমন্বয় করার কথা থাকলেও সেটি না করে সেচ্ছাচারিতা করেন।
সংগলশি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমার সাথে কোন সমন্বয় বা পরামর্শ করা তো দুরের কথা, সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ইউনিয়নে কাউকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে কিনা সেটি জানা নেই। একই অভিযোগ কুন্দপুকুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী চৌধুরীর।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে তা সঠিক নয়। ভালো কাজ করতে গিয়ে কিছু মানুষ এমন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
তবে মোটরসাইকেলের জ্বালানি বাবদ ১৫ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন জনের মোটরসাইকেল ব্যবহার করায় তাদের দিতে হয়েছে এ সব টাকা। দ্রæত মেরামত করে অফিসের মোটরসাইকেলটি আবারও ব্যবহার করা হবে বলে জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, এ বিষয় আমার জানা নেই। তবে গাড়ি না চললে টাকা উত্তোলন যথার্থ নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ভয়েস টিভি/ডিএইচ