ঝিনাইদহে আদালতে মাদরাসা ছাত্রীকে বিয়ে করে জামিন পেয়েছে ধর্ষণ মামলার আসামি এক যুবক। ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুই পক্ষের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দুই বছর আগে ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর এলাকার জাহিদ বিশ্বাসের ছেলে নাজমুল হোসেন (১৮) পার্শবর্তী পবহাটি গ্রামের এক মাদরাসা ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্কের জেরে প্রেমিক-প্রেমিকা বিভিন্ন সময় ঘুরতে যেত। এভাবেই চলছিল তাদের সম্পর্ক।
গত বছরের ১৫ জানুয়ারি নাজমুল ওই মাদরাসা ছাত্রীর বাড়ি যায়। বাড়িতে কেউ না থাকায় নাজমুল তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে নাজমুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার মামা বাদী হয়ে ওইদিন নাজমুলকে আসামি করে সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
মামলা দায়েরের পর সেই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠায়। দীর্ঘ এক বছর কারাবাস করার পর দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের মাধ্যমে আসামি নাজমুলকে জামিন দেন আদালত।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম নুরুল বলেন, নাজমুল হোসেন ধর্ষণ মামলায় এক বছর এক মাস হাজতে ছিল। হাজতে থাকাকালীন জামিন আবেদন করেছিলাম। পরবর্তীতে দুই পক্ষের অভিভাবকদের সম্মতিতে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
সিদ্ধান্তের আলোকে আমরা আদালতে বেল আবেদন করি। জেলা ও দায়রা জজ মহোদয় উভয়পক্ষের অভিভাবকদের বক্তব্য শুনে বিয়ের আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে তাদের বিয়ে দেয়া হয়।
ভয়েস টিভি/এমএইচ