মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে গত ৩ নভেম্বর। এখনো চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে। সবশেষ ফলাফল অনুযায়ী তার ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ২১৪ আর ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের ২৬৪। ভোট গণনা বাকি রয়েছে, এমন রাজ্যগুলোতে বাইডেন ভালো করছেন এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে একপ্রকার নিশ্চিত করেই বলা যায় আমেরিকার ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন বাইডেন।
তবে হাল ছাড়েননি ট্রাম্প। তিনি ইতোমধ্যে ভোট গণনা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মামলাও করেছেন। শেষ পর্যন্ত দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় ৬ নভেম্বর শুক্রবার দেয়া তার বিবৃতিতে ভোট নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরিকল্পনার এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
সিএনএন জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার কোনো চিন্তাই নেই প্রেসিডেন্টের। তার এই ‘গোয়ার্তুমি’ ছাড়িয়ে তাকে বাস্তব পরিস্থিতি বোঝাতে পারবে, এখন এমন ‘একজনের’ খোঁজ করছে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ গুলোতে মার্কিন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে ক্রমশ পিছিয়ে পড়লেও ট্রাম্প এখনও পরাজয় মেনে নেয়ার বক্তৃতা প্রস্তুত করেননি।
কেবল তাই নয়, গত কয়েকদিন ধরে তিনি তার মিত্রদের সঙ্গে আলোচনাতেও নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত তিনি তার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা এবং দুই ছেলেসহ সবচেয়ে কাছের লোকদের পরামর্শে ভোটে জালিয়াতির অভিযোগ নিয়ে অবস্থান আরও দৃঢ় করেছেন। ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও ওই উপদেষ্টারা আদালতে ভোটের ফল চ্যালেঞ্জ করতে আগ্রাসী চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং অন্যান্য রিপাবলিকানদেরকে ট্রাম্পের পক্ষ নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
শুক্রবার সকালে ক্ষুব্ধ ও হতাশ ট্রাম্প টেলিভিশন দেখতে দেখতে তার পক্ষে খুব বেশি মানুষকে না দেখে আরও মুষড়ে পড়েন বলে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
সেদিন বিকেলে দেয়া লিখিত বিবৃতিতে ট্রাম্প আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এটা আর কেবল একটি একক নির্বাচনের বিষয় নয়। এটা আমাদের সমগ্র নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শুদ্ধতার বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ যেন আমাদের সরকারের ওপর আস্থা পায় তা নিশ্চিত করতে আমরা এই প্রক্রিয়াকে আইনের যতগুলো দিক আছে সবগুলোর ভেতর দিয়ে নিয়ে যাবো।’
ট্রাম্প পরাজয় মেনে নিলে ১৯৮৮ ও ২০০৮ সালে দুই দফা হোয়াইট হাউসের দৌড় থেকে ছিটকে পড়া ৭৭ বছর বয়সী বাইডেনই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: ‘চক্রান্ত’ ত্যাগ করার আহ্বান বাইডেনের
ভয়েস টিভি/এসএফ