আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, অভিযুক্ত ও ভিকটিম উভয়ের ডিএনএ টেস্ট বাধ্যতামূলক হওয়ায় একদিকে যেমন হয়রানিমূলক মামলার হার কমবে। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত করা যাবে। এছাড়া আইনে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে বিচার শেষ করা গেলে সুফলও মিলবে।
সম্প্রতি ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার বিষয় নিয়ে এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, দেশে গড়ে প্রতিদিন তিনজন নারী ধর্ষণের শিকার হন। ১৮ বছর আগে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন হলেও অপরাধ কমেনি। বরং সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণের হার আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে। সাজা বাড়ানোর জনদাবির প্রেক্ষিতে গত ১২ অক্টোবর আইন সংশোধনের মধ্য দিয়ে ধর্ষণ, ভুক্তভোগীকে হত্যা ও নির্যাতনের শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে সরকার ।
ধর্ষক ও ধর্ষকমনাদের জন্যে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিশ্লেষকগণ।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আমি নিশ্চিত যে ধর্ষকরা এবং দুষ্কৃতকারীরা ভয় পাবেন। এতে সমাজে এ ধরনের অপরাধ কমে আসবে। অপরাধ করার সাহস পাবে না তারা।
এদিকে, দেশের নারীদের জন্য নতুন আইনটিকে রক্ষাকবচ বলছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি।
নারী সুরক্ষায় নতুন এ আইনকে মাইলফলক উল্লেখ করে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, খুনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ধর্ষণের ঘটনা অনেক ভয়াবহ, নিষ্ঠুর। তবে আইনের বাস্তাবায়নটা না হলে এ ধরনের ঘটনা বাড়বে; কমবে না।
ভয়েস টিভি/এমএইচ