Home সারাদেশ ঢাকায় গত বছরের তুলনায় লাশ দাফন সাড়ে ২৩ শতাংশ বেড়েছে

ঢাকায় গত বছরের তুলনায় লাশ দাফন সাড়ে ২৩ শতাংশ বেড়েছে

by Newsroom

ভয়েস রিপোর্ট: রাজধানী ঢাকায় অবিশ্বাস্যরকম দাফন ও দাহ বেড়েছে এ বছর। ২০১৯ সালের প্রথম ৫ মাসের তুলনায় এবছর প্রথম ৫ মাসে রাজধানী ঢাকায় ২৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ লাশ বেশি দাফন ও দাহ হয়েছে। আর চলতি বছরের করোনা প্রদুর্ভাবের মাস মে মাসে গত বছরের মে মাসের তুলনায় ৭০ দশমিক ২২ শতাংশ লাশ বেশি দাফন হয়েছে। গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ঢাকায় লাশ দাফন হয়েছে সাত হাজার ৪৪১টি। আর চলতি বছরের একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ১৮৬টিতে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের (উত্তর ও দক্ষিণ) ৯টি কবরস্থান ও ২টি শ্মশান ঘাটের হিসাব অনুযায়ী এ তথ্য পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাবের কারণে লাশ দাফনের এমন সংখ্যা বাড়তে পারে। আর সরকারের পক্ষ থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিহত হওয়ার যে তথ্য জানানো হচ্ছে তা যদি সঠিক হয়েছে থাকে তাহলে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় মৃত্যুর এমন সংখ্যা বাড়তে বাড়তে পারে।
ঢাকার দুই সিটির অধীন ৯টি কবরস্থান ও দুটি শ্মশান ঘাটের হিসাব বলছে, এবছর ঢাকার ৯টি কবস্থান ও ২টি শ্মশানঘাটে জানুয়রিতে এক হাজার ৬৩৯টি, ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার ২৯২টি, মার্চে এক হাজার ৬১০টি, এপ্রিলে এক হাজার ৬৮৫টি ও মে মাসে দুই হাজার ৬৬৪টি লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে ওই ৫ মাসে লাশ দাফন হয়েছে ৯ হাজার ১৮৬টি। আর গত বছরের জানুয়ারিতে এক হাজার ৫৬১টি, ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার ৩৪৯টি, মার্চে এক হাজার ৪৯৫টি, এপ্রিলে এক হাজার ৪৭১টি এবং মে মাসে এক হাজার ৫৬৫টি লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে এই পাঁচ মাসে লাশ দাফন হয়েছে ৭ হাজার ৪৪১টি।
অপরদিকে মাসিক তথ্য বিশ্লেষন করে দেখা গেছে, গতবছরের জানুয়ারির তুলনায় এবছরের জানুয়ারিতে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেশি লাশ দাফন হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এবছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ কম লাশ দাফন হয়েছে। গত বছরের মার্চের তুলনায় এ বছরের মার্চে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি দাফন হয়েছে। আর গত বছরের মে মাসের তুলনায় এবছরের মে মাসে ৭০ দশমিক ২২ শতাংশ দাফন বেশি হয়েছে। চলতি বছরের মে মাস ছিলো করোনা প্রদুর্ভাবের মাস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ৯ কবরস্থান ও ২টি শ্মশানঘাটের মধ্যে সাতটি কবরস্থানের মালিক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। বাকি ২টি কবরস্থান ও ২টি শ্মশান ঘাটের মালিক ঢাকা দক্ষিণ। ঢাকা উত্তর সিটির কবরস্থানগুলোর মধ্যে খিলগাঁও তালতলা কবরস্থান এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন কবরস্থানে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া লাশ দাফনের অনুমতি রয়েছে। এ দুটি কবস্থানের মধ্যে খিলগাঁও তালতলা কবরস্থান ও রায়েরবাজার বধ্যভূমির স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন কবরস্থানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের দাফনের অনুমতি রয়েছে। এই দুই কবরস্থানে গত মে মাস পর্যন্ত ৩৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের লাশ দাফন করা হয়েছে।
রায়েরবাজার বধ্যভূমির স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন কবরস্থানের সিনিয়র মোহরার আব্দুল আজিজ গত বছরের জানুয়ারিতে ১৩২টি, ফেব্রুয়ারিতে ১১৭টি, মার্চে ১৩৬টি, এপ্রিলে ১৩২টি এবং মে মাসে ১১৪টি লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে ওই ৫ মাসে কবরস্থাটি ৬৩১ জনের লাশ দাফন হয়েছে। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১৬২টি, ফেব্রুয়ারিতে ১৪৮টি, মার্চে ১৫৬টি, এপ্রিলে ১৭৪টি এবং মে মাসে ৫৫৬টি লাশ দাফন হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় মারা যাওয়া রোগী ছিল ৩৮৮ জন। সব মিলিয়ে গত ৫ মাসে কবস্থানটিতে লাশ দাফন হয়েছে এক হাজার ১৯৬ জনের। কবরস্থানটিতে গত বছরের তুলনায় এবছর ৮৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। এতে করোনা প্রদুর্ভাবের মাস মে মাসে গত বছরের মে মাসের তুলনায় ৩৩৭ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি দাফন হয়েছে।
জানুয়ারি থেকে মে মাসের দাফন ও দাহের তুলনাখিলগাঁও তালতলা কবরস্থানের মোহরার ফেরদৌস জানান, গত বছরের জানুয়ারিতে ২৭টি, ফেব্রুয়ারিতে ১৯টি, মার্চে ৩৩টি, এপ্রিলে ৩১টি এবং মে মাসে ৩৪টি লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে কবরস্থানটিতে ওই ৫ মাসে ১৪৪ জনের লাশ দাফন হয়। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৪১টি, ফেব্রুয়ারিতে ৩৪টি, মার্চে ৫২টি, এপ্রিলে ৩৪টি এবং মে মাসে ৬৪টি লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে কবরস্থানটিতে গত ৫ মাসে ২২৫ জনের লাশ দাফন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এই কবস্থানে ৫৬.২৫ শতাংশ লাশ দাফন বেশি হয়েছে। এতে করোনা প্রদুর্ভাবের মাস মে মাসে গত বছরের মে মাসের তুলনায় ৮৮.২৩ শতাংশ বেশি দাফন হয়েছে।
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের মোহরার সানোয়ার হোসেন জানান, গত বছরের জানুয়ারিতে ১৫৭টি, ফেব্রুয়ারিতে ১২৪টি, মার্চে ১৩১টি, এপ্রিলে ১৩৭টি ও মে মাসে ১২৭টি লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে কবরস্থানটিতে ওই ৫ মাসে লাশ দাফন হয়েছে ৬৭৬টি। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১৫২টি, ফেব্রুয়ারিতে ১৩৬টি, মার্চে ১৪২টি, এপ্রিলে ১৫১টি এবং মে মাসে ২০৮টি লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে কবরস্থানটিতে গত ৫ মাসে লাশ দাফন হয়েছে ৭৮৯টি। কবরস্থানটিতে গত বছরের তুলনায় এবছর ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়েছে।
বনানী কবরস্থানের সিনিয়র মোহরার আব্দুল হান্নান জানান, গত বছরের জানুয়ারিতে ৫৯টি, ফেব্রুয়ারিতে ৪৮টি, মার্চে ৪৩টি, এপ্রিলে ৫৩টি এবং মে মাসে ৫৫টি লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে কবরস্থানটিতে ওই ৫ মাসে ২৫৮ জনের লাশ দাফন হয়। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৫৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৬৮টি, মার্চে ৭৭টি, এপ্রিলে ৭১টি এবং মে মাসে ৯৫টি লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে কবরস্থানটিতে গত ৫ মাসে ৩৬১ জনের লাশ দাফন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর কবরস্থানটিতে ৩৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি লাশ দাফন হয়েছে।
উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের কবরস্থানের মোহরার মনিরুল ইসলাম জানান, গত বছরের জানুয়ারিতে ১৫টি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫টি, মার্চে ১৭টি, এপ্রিলে ১৩টি এবং মে মাসে ২০টি লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে কবরস্থানটিতে ওই ৫ মাসে ৯০ জনের লাশ দাফন হয়। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২৫টি, ফেব্রুয়ারিতে ২৪টি, মার্চে ২২টি, এপ্রিলে ২১টি এবং মে মাসে ২৩ লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে কবরস্থানটিতে গত ৫ মাসে ১১৫ জনের লাশ দাফন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর কবরস্থানটিতে ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি লাশ দাফন হয়।
উত্তরা ৪নং সেক্টর কবরস্থানে গত বছরের জানুয়ারিতে ৯টি, ফেব্রুয়ারিতে ১২টি, মার্চে ১৮টি, এপ্রিলে ১৪টি এবং মে মাসে ১১টি লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে কবরস্থানটিতে ওই ৫ মাসে ৬৪ জনের লাশ দাফন হয়। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১৫টি, ফেব্রুয়ারিতে ২১টি, মার্চে ১৭টি, এপ্রিলে ১৯টি এবং মে মাসে ২০ লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে কবরস্থানটিতে গত ৫ মাসে ৯২ জনের লাশ দাফন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর কবরস্থানটিতে ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ লাশ বেশি দাফন হয়েছে।
উত্তরা ১৪নং সেক্টর কবরস্থানে গত বছরের জানুয়ারিতে কোনও লাশ দাফন হয়নি, ফেব্রুয়ারিতে ৩টি, মার্চে ১টি, এপ্রিলে ৫টি এবং মে মাসে ৩টি লাশ দাফন হয়েছে।সব মিলিয়ে কবরস্থানটিতে ওই ৫ মাসে ১২ জনের লাশ দাফন হয়। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৫টি, ফেব্রুয়ারিতে ৪টি, মার্চে ৯টি, এপ্রিলে ৬টি এবং মে মাসে ১২ জনের লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে কবরস্থানটিতে গত ৫ মাসে ৩৬ জনের লাশ দাফন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর কবরস্থানটিতে ২০০ শতাংশ বেশি লাশ বেশি দাফন হয়েছে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সব চেয়ে বড় ও কবরস্থান আজিমপুর কবরস্থানে গত বছরের জানুয়ারিতে ৭৬০টি, ফেব্রুয়ারিতে ৬৮২টি, মার্চে ৭৫৫টি, এপ্রিলে ৭৩১টি এবং মে মাসে ৭৭৭টি লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে কবরস্থানটিতে ওই ৫ মাসে তিন হাজার ৭০৫ জনের লাশ দাফন হয়েছে। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৭৯৮টি, ফেব্রুয়ারিতে ৭৭৬টি, মার্চে ৭৪০টি, এপ্রিলে ৭৭৩টি এবং করোনা প্রদুর্ভাবের মাস মে মাসে এক হাজার ৭৪ জনের লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে কবরস্থানটিতে গত ৫ মাসে চার হাজার ১৬১ জনের লাশ দাফন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছরের প্রথম ৫ মাসে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি লাশ দাফন হয়েছে এই কবরস্থানে।
জুরাইন কবরস্থানে (মুরাগপুর ও ধলপুরসহ) গত বছরের জানুয়ারিতে ৩০৭টি, ফেব্রুয়ারিতে ২৪৩টি, মার্চে ২৭৩টি, এপ্রিলে ২৬৪টি এবং মে মাসে ৩১২টি লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে কবরস্থানটিতে ওই ৫ মাসে ১৩৯৯ জনের লাশ দাফন হয়। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২৮৯টি, ফেব্রুয়ারিতে ২৮২টি, মার্চে ৩০৭টি, এপ্রিলে ৩১৫টি এবং মে মাসে ৪০৮ লাশ দাফন হয়েছে। সব মিলিয়ে কবরস্থানটিতে গত ৫ মাসে এক হাজার ৬০১ জনের লাশ দাফন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর কবরস্থানটিতে ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি লাশ দাফন হয়েছে।
কামরাঙ্গীরচর শ্মশানঘাটে গত বছরের জানুয়ারিতে ২৩টি, ফেব্রুয়ারিতে ১৭টি, মার্চে ১৫টি, এপ্রিলে ১৭টি এবং মে মাসে ২৩টি লাশ দাহ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে শ্মশান ঘাটটিতে ওই ৫ মাসে ৯৫ জনের লাশ দাহ করা হয়। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ২১টি, মার্চে ২০টি, এপ্রিলে ২১টি এবং মে মাসে ২০ লাশ দাহ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে শ্মশানঘাটটিতে গত ৫ মাসে ৯৬ জনের লাশ দাহ করা হয়েছে।গত বছরের তুলনায় এবছর এতে ১ দশমিক ০৫ শতাংশ লাশ বেশি দাহ করা হয়েছে।
পোস্তগোলা শ্মশান ঘাটে গত বছরের জানুয়ারিতে ৭২টি, ফেব্রুয়ারিতে ৫৯ টি, মার্চে ৭৩টি, এপ্রিলে ৭৪টি এবং মে মাসে ৮৯টি লাশ দাহ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে শ্মশানঘাটটিতে ওই ৫ মাসে ৩৬৭ জনের লাশ দাহ করা হয়। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৮৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৭৮টি, মার্চে ৬৮টি, এপ্রিলে ১০০টি এবং মে মাসে ১৮৪ লাশ দাহ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে শ্মশান ঘাটটিতে গত ৫ মাসে ৫১৪ জনের লাশ দাহ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর এতে ৪০ দশমিক ০৫ শতাংশ লাশ দাহ বেশি করা হয়েছে।
লাশ দাফনের এমন চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে গত বছরের তুলনায় এ বছর দাফনের হার বেড়েছে। তবে সব চেয়ে বেশি বেড়েছে করোনা প্রদুর্ভাবের মাস মে মাসে। এসব কবরস্থানে দাফনের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে ডিএসসিসির কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, করোনার কারণে লাশ দাফনের বাড়তি এমন চিত্র হতে পার। আর যদি তা না হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিহতের যে সংখ্যা সরকার প্রকাশ করছে তা যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে আমি বলবো, এই সময়ে করোনা ছাড়া অন্যান্য রোগের চিকিৎসা হয়নি। হাসপাতালগুলোতে আপনি নজর দিলেও একই চিত্র দেখতে পাবেন। এ কারণে চিকিৎসা না পেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষ মারা গেছে। যারা চিকিৎসা পেলে আরও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ছিলো।

You may also like