ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় ভুক্তভোগীর দুজন বান্ধবীসহ আরো তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। এ নিয়ে ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহারের আদালতে আসামি মজনুর বিরুদ্ধে তারা সাক্ষ্য দেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি মজনুর পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী রবিউল ইসলাম রবি তাদের জেরা করেন। জেরা শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৬ মার্চ মজনুকে একমাত্র আসামি করে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক। ওইদিনই আদালত মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। কিন্তু করোনার কারণে আদালত সাধারণ ছুটিতে থাকায় কোনো কার্যক্রম হয়নি।
পরে গত ১৬ আগস্ট এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন এবং গত ২৬ আগস্ট মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ভার্চ্যুয়াল আদালত। গত ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহার ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দ জগলুল হোসেন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্যে ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা এবং ২১ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
গত ৫ জানুয়ারি ঢাবির ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। পরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় গত ৮ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে মজনুকে গ্রেফতার করে র্যাব। ৯ জানুয়ারি আদালত মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং ১৬ জানুয়ারি মজনু দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
ভয়েস টিভি/এমএইচ