ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগামী ২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে। ২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের একথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ঢামেকের ব্যবস্থা সুন্দর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢামেক প্রস্তুত আছে। বেজমেন্টে বড় জায়গায় ব্যবস্থা করেছে। নারী এবং পুরুষদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ভ্যাকসিন নিতে আসা ব্যক্তিদের অপেক্ষা করার আলাদা জায়গা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বেড আছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর যদি কোনও সমস্যা তৈরি হয়, সেজন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর চিকিৎসকরা ৩০ মিনিট দেখবেন, তারপর সম্পূর্ণ সুস্থ মনে হলে তারা ছেড়ে দেবেন। ভ্যাকসিন কার্যক্রমের জন্য হাসপাতালের অন্যান্য সেবার কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না।
ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, ঢামেক হাসপাতালে ২৮ জানুয়ারি সকাল থেকে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে জরুরি বিভাগের আন্ডারগ্রাউন্ডে টিকার জন্য প্রস্তুত রাখা স্থানটি ঘুরে দেখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এসময় তার সঙ্গে আরও ছিলেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদসহ অন্য কর্মকর্তারা।
আলাউদ্দিন আল আজাদ জানান, আমরা এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছি। হাসপাতালে যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তাদের তালিকাও সম্পন্ন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে টিকা দেওয়া শুরু হবে। আশা করছি, কয়েক ধাপে একদিনে একশ’ স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হবে। এ জন্য চারটি বুথে নারী-পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মী টিকা নিতে পারবেন।
কাদেরকে আগে টিকা দেবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রথমে কয়েকজন চিকিৎসকের নাম রেখেছি। তারপর স্টাফ ও নার্সসহ সব শ্রেণির স্বাস্থ্যকর্মী তালিকায় রয়েছেন।
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে নিয়ম অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক টিকা দেওয়া হবে।
উপপরিচালক আজাদ বলেন, আজ রাতে একশ’ থেকে ১২০টি ভ্যাকসিন আসার কথা রয়েছে। এ জন্য ভ্যাকসিন রাখার স্থানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ভয়েসটিভি/এএস