ভোলার তজুমদ্দিনে মেঘনায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ জেলে আল আমিনের (৩০) মরদেহ তিনদিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তরে জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে ৯ ডিসেম্বর বুধবার বিকালে মেঘনার ধনিয়ার খাল নামক পয়েন্টে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
এ ঘটনার নিহতের পিতা বাদী হয়ে তজুমদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এতে লঞ্চের মাস্টার, সুকানি ও চালকসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উপজেরার ধনিয়ার খাল পয়েন্টে নিখোঁজ জেলে আল আমিনের লাশ ভাসতে দেখে কোস্টগার্ডের সদস্যরা এটি উদ্ধার করে।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে ভোলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা বলেন, নিহত জেলের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা দেয়া হবে। এছাড়াও সরকারিভাবে অন্যান্য সহযোগিতাও করা হবে। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের হওয়ার বিষয়টি তদন্ততের জন্যে পুলিশকে বলা হয়েছে।
এর আগে গত রোববার বিকালের দিকে হাতিয়া-ঢাকা রুটের লঞ্চ এমভি ফারহান-৪ তজুমদ্দিনের চৌমুহনী ঘাটে যাত্রী উঠা-নামা করায়। পরে সেখান থেকে ফেরার পথে একটি মাছ ধরা নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে জেলে নৌকাটি ডুবে গেলে আলামিন নিখোঁজ হয়।
আরও পড়ুন : ভোলার তজুমদ্দিনে নিখোঁজ জেলের সন্ধান মেলেনি
ভয়েস টিভি/এমএইচ