Home পশ্চিমবঙ্গ ‘তন্ত্র-মন্ত্র দিয়ে’ যুবক খুন

‘তন্ত্র-মন্ত্র দিয়ে’ যুবক খুন

by Newsroom
তন্ত্র-মন্ত্র

কলকাতার সল্টলেকের একটি বাড়ি থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। ১৭ ‍ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনায় পুলিশ খুন হওয়া ব্যক্তির মা এবং ছোট ভাইকে গ্রেফতার করেছে।

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ জে ব্লকের ওই বাড়ি থেকে মিলেছে ‘তন্ত্র-মন্ত্র’ করার প্রমাণ। বাড়ির ভিতরে পাওয়া গিয়েছে কয়েকটি নকশা। সেগুলি তন্ত্র সাধনার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বাড়ির বাইরে চারদিকে একাধিক স্বস্তিকা চিহ্ন এবং ত্রিশুল পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

ফরেনসিক সূত্রের খবর, হলঘরে চেয়ারে বসিয়ে দেহ পোড়ানো হয়। বাড়ির পিছন থেকে পাওয়া গিয়েছে পোড়া কাঠের গুঁড়ো। গন্ধ আটকাতে কর্পূর, ঘি, ধুনো জাতীয় জিনিস পোড়ানো হয় বলেও অনুমান করছে তারা। যদিও পুলিশের আরেক অংশের দাবি, তন্ত্র সাধনাকে সামনে রেখে পিছনে আরও বড় কোনও অপরাধ আড়ালের চেষ্টা হতে পারে।

সল্টলেকের মত অভিজাত এলাকায় কীভাবে তন্ত্রসাধনা? উঠছে প্রশ্ন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই যে প্রশ্নগুলি উঠেছে, তন্ত্র সাধনার জেরে ছেলেকে খুন করা হয়ে থাকলে তান্ত্রিক কে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সল্টলেকের এ জে ব্লকের বাড়ি থেকে কঙ্কাল উদ্ধার হয়। বাড়ির মালিক অনিল মহেন্সারিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তারই স্ত্রী গীতা মহেন্সারিয়া ও ছোট ছেলে বিদুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অনিল মহেন্সারিয়ার অভিযোগ ছিল, বড় ছেলে অর্জুনকে খুন করে গুম করা হয়েছে। গণ্ডগোলের জেরে দুই ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান তার স্ত্রী। কিন্তু কিছুতেই তিনি বড় ছেলের খোঁজ পাচ্ছেন না।

পুলিশ সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে অনিলবাবুর ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়। তখন গীতাদেবী বাড়িতে তান্ত্রিক ডাকেন। ব্যবসায় খানিক উন্নতি হলেও কয়েকদিন পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়।

সল্টলেকের বাড়ি ছেড়ে রাজারহাটে থাকতে শুরু করেন অনিল মহেন্সারিয়া। ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান গীতাদেবী। এরপর অনিলবাবু জানতে পারেন তাদের সঙ্গে বড় ছেলে নেই। তখনই অভিযোগ করেন পুলিশে।

ভয়েস টিভি/ডিএইচ

You may also like