সাতক্ষীরা শহরের জজকোর্ট চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে মাস্ক বিক্রি করে তরিকুল ইসলাম। মাস্ক বিক্রির লাভের টাকা তুলে দেয় পরিবারকে। বাবার রোজগারের সঙ্গে সেই টাকায় চলে পরিবারের খরচ।
দীর্ঘদিন একটি বাইসাইকেল দাবি করলেও পরিবারের আর্থিক অনটনে সেটি দিতে পারেনি বাবা। তবে তরিকুল ইসলামের স্বপ্ন এবার পূরণ হয়েছে। হৃদয়বান এক ব্যক্তির (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) টাকায় তরিকুলকে দেয়া হয়েছে একটি বাইসাইকেল ।
সাম্প্রতি তরিকুল ইসলামের মাস্ক বিক্রি ও পরিবারের কথা তুলে ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি দেখার পর ভয়েস টেলিভিশনের এই প্রতিনিধির কাছে সাইকেল ক্রয়ের জন্যে টাকা পাঠান এ হৃদয়বান মানুষ।
সেই টাকায় ১৮ জানুয়ারি সোমবার সকাল ১১টায় তরিকুল ইসলামকে একটি বাইসাইকেল তুলে দেয়া হয়। অবশিষ্ট টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে ওই পরিবারে। সে সাতক্ষীরা শহরের মধুমল্লারডাঙ্গী এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
সাইকেলটি পাওয়ার পর আনন্দিত শিশু তরিকুল ইসলাম বলেন, আমার অনেক স্বপ্ন ছিল একটি বাইসাইকেলের। বাবাকে বলেছি অনেকবার তবে দিতে পারেনি। আমাকে যে ভাইয়া সাইকেলটি দিয়েছেন তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এবার আমি সাইকেল চালিয়ে মাস্ক বিক্রি করতে পারবো। প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকার মাস্ক বিক্রি করি। এখন বিক্রি আরও বেশী হবে।
সাইকেলটি তরিকুল ইসলামকে তুলে দেওয়ার সময় শ্যামনগর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর রহমান, সংবাদিক আকরামুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম শুভ, আবু সাঈদ সরদার, জিয়াউর রহমান, রিয়াজ, আলিফসহ শিশুটির পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন : ‘ভিক্ষা করলে সম্মান থাকে না বলে মাস্ক বিক্রি করি’
ভয়েস টিভি/এমএইচ
