Home সারাদেশ আইতে শাল যাইতে শাল তার নাম বরিশাল

আইতে শাল যাইতে শাল তার নাম বরিশাল

by Newsroom

ধান-নদী-খাল– এই তিনে বরিশাল,  দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম এ জেলাটি  খ্যাতির পাশাপাশি প্রাচ্যের ভেনিস নামে পরিচিত।  কীর্তনখোলা নদীর তীরে এই শহরের পুরাতন নাম চন্দ্রদ্বীপ। দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনের একটি মূল উৎস বৃহত্তর বরিশাল জেলা। বরিশালের নদীবন্দরটি দেশের অন্যতম প্রাচীন, দ্বিতীয় বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীবন্দর।

বরিশাল নামকরণ সম্পর্কে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, অনেক আগে এখানে বড় বড় শাল গাছ জন্মাতো, আর এই শাল গাছের কারণে বরিশাল নামের উৎপত্তি। খাল-বিল জলাভূমিতে ভরা বরিশালে যাতায়াতের অসুবিধাকে মাথায় রেখে প্রচলিত রয়েছে— আইতে শাল যাইতে শাল তার নাম বরিশাল।

অনেকে বিশ্বাস করেন, বরিশাল নামকরণ করা হয়েছে পর্তুগীজ বেরি ও শেলির প্রেমকাহিনীর জন্য। অন্যএক কিংবদন্তি থেকে জানা যায়, গিরদে বন্দরে ঢাকার নবাবদের বড় বড় লবণের গোলা ও চৌকি ছিল। ইংরেজ ও পর্তুগীজ বণিকরা বড় বড় লবণের চৌকিকে ‘বরিসল্ট’ বলতো। ধীরে ধীরে বরিসল্ট শব্দটি পাল্টে বরিশাল নামে পরিচিতি লাভ করে। এই বরিশালের রয়েছে অনেক ঐতিহ্য। চলুন সেসব জেনে নেয়া যাক…

প্রভাতের আলো ফুটতেই চোখ মেললেই নজর কাড়বে দিগন্ত বিস্তৃত লাল শালুক। মিষ্টি রোদে শালুক ফুল নিজেকে প্রস্ফুটিত করে রেখেছে যেন প্রাকৃতির সৌন্দর্য বাড়াতে। প্রকৃতি উজার করা নয়নাভিরাম এই লাল শাপলার বিল অবস্থিত বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া এবং উজিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত তিনটি গ্রামে।

কালো জলের ভেতর থেকে ফুটে ওঠা লাল শাপলা যেনো এখানকার প্রকৃতিকে দিয়েছে নববধুর সাজ। চারিদিকে সবুজে ঘেরা প্রকৃতির মাঝে কালো জলরাশির উপরে ভাসছে লাল শাপলা। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন দিগন্ত বিস্তৃত লাল গালিচা। তাই অপরূপ এই সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিদিন অসংখ্য প্রকৃতিপ্রেমী ছুটে আসেন এখানে।

প্রকৃতিপ্রেমীরা খুব কাছ থেকে উপভোগ করেন লাল শাপলার বিলের রূপ। বর্ষার শুরুতে শাপলার জন্ম হলেও, হেমন্তের শিশির ভেজা রোদেলা সকালে কালো জলাশয়ের শাপলার নান্দনিক দৃশ্যে চোখ জুড়িয়ে যায় প্রকৃতি প্রেমিদের।

প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো শাপলার এ বিল বছরের পর বছর ধরে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের চাকা যেমন ঘোরাচ্ছে তেমনি কালের পরিক্রমায় এখন এটি আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে পর্যটকদের কাছেও। বরিশাল অঞ্চলের পশ্চিম বারপাইকা, নাঘিরপাড়, কদমবাড়ি, রামশীল, শুয়া গ্রামসহ বিভিন্ন বিলাঞ্চলের জলাশয়ে ফোটে শাপলা ফুল। তবে বিলের মোট আয়তন ও মাপ করোরই নির্দিষ্ট করে জানা নেই, তেমনি শাপলা ফোটার জন্মকালের বিষয়েও নেই সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য।
বাংলার এমন রূপের ছবি কল্পনা করেই হয়তো আধুনিক বাংলা সাহিত্যে কবি জীবনানন্দ দাশ তার কবিতার মধ্য দিয়ে বার বার ফিরে আসতে চেয়েছিলেন এই বাংলায়। আর এমনটাই যেনো মনে করিয়ে দেয় কালো জলের লাল শাপলার বিলের এই নান্দনিকতা।

বরিশালের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন বাঙালি কবি মুকুন্দ দাস, যাকে চারণ কবি বলেও অভিহিত করা হয়। মুকুন্দ দাস স্বদেশী ও অসহযোগ আন্দোলনের সময় বহু স্বদেশী বিপ্লবী গান ও নাটক রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ছিলেন স্বদেশী যাত্রার প্রবর্তক। প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন কবিয়াল ছিলেন। বিক্রমপুরের বানরী গ্রামে ১৮৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার দেয়া নাম ছিল যজ্ঞেশ্বর দে এবং ডাক নাম ছিল যজ্ঞা।

জন্মের পর ঐ গ্রাম পদ্মা নদীতে তলিয়ে গেলে তারা সপরিবারে বরিশাল শহরে চলে আসেন। বরিশালের ব্রজমোহন স্কুলে তার শিক্ষা শুরু হয়। বরিশালে বৈষ্ণব সন্ন্যাসী রামানন্দ অবধূত– যজ্ঞেশ্বরের গলায় হরিসংকীর্তন ও শ্যামাসঙ্গীত শুনে মুগ্ধ হয়ে তাকে দীক্ষা দিয়ে তার নাম রাখেন মুকুন্দদাস। উনিশ বছরের বয়সের মধ্যে মুকুন্দদাস সাধন-সঙ্গীত নামে একশ গান সমৃদ্ধ একটি বই রচনা করেন।

বরিশাল হিতৈষী পত্রিকায় লেখার পাশাপাশি তিনি যাত্রাগানের মাধ্যমে পুরো বরিশাল মাতিয়ে রাখতেন। চারণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাওয়া অর্থ দিয়ে তিনি বরিশালের কাশীপুর কালীমন্দিরের জায়গা কেনেন, যা এখন বরিশাল নগরীতে ঢোকার মুখে নথুলাবাদ বাস টার্মিনাল -সংলগ্ন চারনকবি মুকুন্দ দাসের কালীবাড়ি।

বরিশাল বিভাগের ভৌগোলিক, প্রাকৃতিক পরিচিতি, খ্যাতনামা ব্যক্তিদের পরিচিতি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, লোকশিল্প এবং বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ ও ইতিহাস তুলে ধরে বরিশালে নির্মিত হয়েছে বিভাগীয় জাদুঘর। ১৮২১ সালে পুরাতন কালেক্টরেট ভবনকে সংস্কার করে নির্মাণ করা হলেও ১৯৭৯ সালে গণপূর্ত বিভাগ ওই ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী এবং ১৯৮৪ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। কিন্তু ২০০৩ সালে সরকার ভবনটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

২০০৫ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অনুকূলে ভবনের দখল হস্তান্তর করা হয়। এরপর ২০০৫ সালে ভবন সংস্কার করে বিভাগীয় জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়। ২০০৭ সালে সংস্কার কাজ শেষ এবং ২০১৫ সালের ৮ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন সে সময়ের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এরপরই সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় জাদুঘর।

জাদুঘরের দ্বিতীয় তলায় নয়টি গ্যালারিতে বরিশাল বিভাগের ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক পরিচিতি, বরিশালের খ্যাতিমান ব্যক্তি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, লোকশিল্প, বাংলাদেশের প্রত্নতত্ব সম্পদ ও ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যে সংগৃহীত দুই শর বেশি উপাদানে নয়টি গ্যালারিতে সাজানো হয়েছে। দর্শনার্থীরা সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা এবং শীতকালে সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত জাদুঘর পরিদর্শন করতে পারবেন।

১৮শতকের গোড়ার দিকে নদী বেষ্টিত এই বরিশাল শহরে খৃস্টান মিশনারীদের পদচারণা শুরু হয়। ইংল্যান্ড ভিত্তিক খৃস্টান উপগ্রুপ এ্যাংলিক্যান মিশনারী সংস্থা ১৮৯৫ সালে এখানে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। সে বছর ব্রিটিশ রাজের সমর্থনে ব্রিটিশ সংস্কৃতির বাহক হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশে কাজ করার উদ্দেশ্যে ব্রাদারহুড অব এপিফানী সংগঠন তৈরি হয়। এই সংগঠনের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৯০২ সালের পর থেকে পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়, আবাসিক হোস্টেল, শিশু সদন, স্বাস্থসেবা কেন্দ্র তৈরি হয়।

এপিফানী গির্জার নির্মাণ কাজ ১৯০৩ সালে শুরু হয়। আর ১৯০৭ সালে দ্বিতীয় ধাপের কাজ শেষ হয়। এই কমপ্লেক্সকে কেন্দ্র করে এপিফানী ব্রাদারহুড এবং সিস্টারহুড সংগঠনের তত্বাবধানে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ৩৫ একর জমির ওপর পুরো কমপ্লেক্সটি অবস্থিত।

কমপ্লেক্সে ১৩টি ছোট-বড় পুকুর, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আবাসিক ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেল, ফাদার ও সিস্টারদের আবাসন, পাঠাগার ও হাসপাতাল রয়েছে। তবে বরিশালে স্থানীয়ভাবে এটি লাল গির্জা বা অক্সফোর্ড মিশন গির্জা নামে পরিচিত। একতলা গির্জার মূল প্রার্থনা কক্ষটির উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। তিন দিক দিয়েই বেশ কয়েকটি দরজা আছে। চারদিকে বারান্দা এবং চলাচলের পথ। মূল বেদীর উপর একটি বড় ক্রুস বসানো হয়েছে, যেটি প্যালেস্টাইনের বেথেলহেম থেকে সংগৃহীত।

টেরাকোট রঙের ইট দিয়ে বহির্বিভাগ তৈরি। এর ছাদ কাঠের তৈরি, আর মেঝেতে আছে সুদৃশ্য মার্বেলের টাইলস। গির্জাটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগেও এর স্থাপত্যশৈলী নষ্ট না হয়। ১৯৬০ ও ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়েও গির্জাটি সম্পূর্ণ অক্ষত থেকে যায়। এশিয়ার সবচে বড় ঘণ্টা এ চার্চেই বেজে ওঠে।
বরিশাল নগরীর অন্যতম ঐতিহ্য ‘হিমনীড়’। বিরল প্রজাতির বিভিন্ন বৃক্ষশোভিত বিশাল এলাকাটির অন্যতম আকর্ষণ পদ্মপুকুর। এটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিও। স্থানীয় বা ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান এ হিমনীড়। নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানের পূর্বে প্রায় একশ একর জমিতে হিমনীড়ের অবস্থান।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ও এখানে। কাঠের তৈরি আকর্ষণীয় দ্বিতল বাংলোর সামনের পুকরে প্রায় সারাবছর ফোটে পদ্ম। প্রতিদিন হাজারো মানুষ হিমনীড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন।
ব্রিটিশ শাসনামলে ইন্ডিয়ান জেনারেল নেভিগেশন এবং রিভার স্টিম নেভিগেশন কোম্পানি তাদের কার্যালয় হিসেবে রাজা বাহাদুর সড়কে হিমনীড় প্রতিষ্ঠা করে। ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের অবকাশ যাপনে কাঠ ও টালির চালা দিয়ে দ্বিতল বাংলো স্থাপন করা হয়। বাংলোর সামনে খনন করা বিশাল পুকুরের চারপাশে অর্জুন, শ্বেতচন্দন, অশোক, অশ্বত্থ বৃক্ষ ছাড়াও রয়েছে কাঁঠালচাঁপা, গোলাপ, রাধাচূড়া, হাসনাহেনা, নয়নতারা, ডালিয়া, জিনিয়া ফুলসহ নানা প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ছায়া সুনিবিড় এই ‘হিমনীড়ে’ বসেই মুক্তিযুদ্ধের পরিকল্পনা করা হতো। এবং তৎকালিন সময়ে এটিই ছিলো বেসামরিক সচিবালয়।
ব্রজমোহন কলেজ বা বি.এম কলেজ বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৮৮৯ সালে প্রখ্যাত সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষানুরাগী অশ্বিনীকুমার দত্ত তার পিতা ব্রজমোহন দত্তের নামে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। তখন কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত ছিলো। সেসময়ে এ কলেজের মান এতই উন্নত ছিল যে অনেকে একে দক্ষিণ বাংলার অক্সফোর্ড বলে আখ্যায়িত করতেন।

১৯৬৫ সালে কলেজটির জাতীয়করণ করা হয় ও বর্তমানে এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। কলেজে স্নাতক বা সম্মান শ্রেণীতে ২২টি বিষয়ে ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ১৯টি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। ছাত্রদের জন্য ৩টি হোস্টেল এবং ছাত্রীদের জন্য চারতলা ভবনের ১টি হোস্টেল রয়েছে। কলেজের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে মোট বইয়ের সংখ্যা ৪০ হাজার। এখানে বাণিজ্য ভবন, ২টি কলা ভবন, একটি অডিটোরিয়াম, ৪টি বিজ্ঞান ভবন ও ৩টি খেলার মাঠ রয়েছে। এছাড়াও দুই প্রান্তে দুটি দিঘি কলেজের সৌন্দর্যকে করে তুলেছে মনোমুগ্ধকর।
বিবির পুকুর বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি শতবর্ষের পুরানো ও ঐতিহ্যবাহী কৃত্রিম জলাশয়। ১৯০৮ সালে উইলিয়াম কেরির পালিত সন্তান জিন্নাত বিবির উদ্যোগে জনগণের পানির কষ্ট নিরসনে নগরীর সদর রোডের পূর্ব পাশে ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৮৫০ ফুট প্রস্থ একটি পুকুর খনন করা হয়।
পরবর্তীতে এটি তার নাম অনুসারে “বিবির পুকুর” নামে পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশের অন্য কোন বিভাগীয় শহরের প্রাণকেন্দ্রে এরকম জলাশয় নেই এবং এটি বরিশাল নগরীর অন্যতম সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য বলে বিবেচিত হয়।
শ্রী শ্রী শংকর মঠ— বরিশাল নগরীতে নানা উত্থান-পতনের মধ্যদিয়েই সেই ব্রিটিশ আমল থেকে এক চিত্তে দাঁড়িয়ে আছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ উপাসনালয়টি। তবে ব্রিটিশ শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত এ মন্দিরটিতে একসময় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পরিণত হয়েছিলো জরাজীর্ণ। পরে মন্দিরটি রক্ষা পেয়েছিল বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকের পরিশ্রমের কারণে।
১৯১০ সালে বরিশাল নগরীর নতুন বাজার এলাকায় স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সতীশ চন্দ্র মুখোপ্যাধায় নামে পরিচিত ছিলেন এবং ব্রজমোহন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। এ আশ্রমটি প্রতিষ্ঠার কারণ হিসেবে জানা যায়, সতীশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় ভারতবর্ষ স্বাধীনতা আন্দোলনে এখান থেকেই রাজনৈতিক চেতনায় যুব সম্প্রদায়কে উজ্জীবিত করার কাজ করতেন। এখানে বসেই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পরিকল্পনা করা হতো। কেননা স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী তৎকালীন সময়ের প্রথম সারির একজন বিপ্লবী নেতা ছিলেন।

ভয়েস টিভি/ডিএইচ

You may also like