Home সারাদেশ শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী অভিযুক্ত তিন শিক্ষক বরখাস্ত

শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী অভিযুক্ত তিন শিক্ষক বরখাস্ত

by Newsroom
তিন কলেজ শিক্ষক

চাঁদপুর : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বিরুদ্ধে ফেসবুকে ফেইক আইডির মাধ্যমে অপপ্রচারের দায়ে গ্রেফতার ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত  করা হয়েছে। এর মধ্যে আইসিটি শিক্ষক (প্রভাষক) মো: নোমান ছিদ্দিকী ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি (প্রভাষক) মো: জাহাঙ্গীর হোসাইনকে সাময়িকভাবে এবং ইংরেজি (খণ্ডকালীন প্রভাষক) এ.বি.এম আনিছুর রহমানকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। কলেজের পরিচালনা পর্ষদ গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশমতে এ ব্যবস্থা নিল কলেজ গভর্নিং বডি।

৫ আগস্ট বুধবার কলেজের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ গণ্যমান্যদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ফেইক আইডির মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত অপপ্রচারের অভিযোগে গত ১৯ জুলাই ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের ৩ জন শিক্ষককে পুলিশ কলেজের আইটি বিভাগ থেকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে কলেজের পরিচালনা পর্ষদ গত ২২ জুলাই সভাপতির বাসভবনে সন্ধ্যায় এক জরুরি সভার মাধ্যমে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

উক্ত কমিটি সরজমিনে তদন্তের মাধ্যমে জানতে পারে যে- এলাকার লোকজনের আটককৃতদের ব্যাপারে বিরূপ ধারণা রয়েছে। জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ঘটনা প্রকাশের কারণে কলেজের ভাবমূর্তি ও সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়। শিক্ষকগণের বিরুদ্ধে পূর্বে ফৌজদারী মামলাও রয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশের প্রেক্ষিতে কলেজ গভর্নিং বডি সিদ্ধান্তক্রমে আটককৃত মো: নোমান ছিদ্দিকী ও মো: জাহাঙ্গীর হোসাইন-কে সাময়িকভাবে এবং এ.বি.এম আনিছুর রহমান (খণ্ডকালীন)-কে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করে।

এ বিষয়ে ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ ড. হাছান খান বলেন, এ.বি.এম আনিছুর রহমান মূলত আমাদের শিক্ষক না। তিনি ফরক্কাবাদ সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি আমাদের এখানে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ছিলেন।

মাঝেমধ্যে দু’ একটি ক্লাস নিতেন। তিনি জানান, তদন্ত কমিটি গত ৩ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। এরপর অভিযুক্ত ৩ শিক্ষকে ৪ আগস্ট বরখাস্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপিসহ বিশিষ্টজনদেরকে নিয়ে গুজব ছড়ানো ও অপপ্রচারের অভিযোগে ওই দুই কলেজ শিক্ষক, এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গত ১৯ জুলাই গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারের পর ২০ জুলাই সংবাদ সম্মলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, ফেসবুক আইডি থেকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নামে গুজব এবং অপপ্রচার ছড়ানোয় অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার ও হান্নান নামের আরেক শিক্ষক জিডি করেন। জিডি অনুসন্ধান করে এর সত্যতা পাওয়ায় আমরা মামলা করি। এরপর আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা নিরবচ্ছিন্নভাবে তদন্ত কাজ চালিয়ে যান। একপর্যায়ে কিছু ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে সন্দেহ হয়। সন্দেহের ভিত্তিতে সার্চ ওয়ারেন্টের জন্য আমরা আদালতে একটি আবেদন দেই। আদালতের সার্চ ওয়ারেন্ট পেয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার গভীর রাতে ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের আইটি সেকশনে একটি অভিযান পরিচালনা করি। গোয়েন্দা তথ্যের সত্যতা অনুযায়ী ওই সময় কলেজ বন্ধ থাকা সত্বেও সেখানে আমরা তিন শিক্ষককে পাই।

তিনি বলেন, ওই কলেজের ইসলামিক ইতিহাসের প্রভাষক জাহাঙ্গীর, কলেজের আইসিটি শিক্ষক মো. নোমান সিদ্দিকী এবং পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসা শিক্ষক এবিএম আনিছুর রহমানকে ‘জয় আহমেদ’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে এ ধরনের কার্যক্রম চালানোর সময় হাতেনাতে আটক করি।

ভয়েস টিভি/চাঁদপুর প্রতিনিধি/ডিএইচ

You may also like