ভয়েস ডেস্ক : গুরুতর অসুস্থ ও মৃত্যু গুজবের অবসান ঘটিয়ে প্রায় তিন সপ্তাহ পর প্রকাশ্যে এসেছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন । কিমের অসুস্থতা নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এমন কানাঘুষাও শুরু হয় যে তিনি মারা গেছেন। দেশ বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে নানা মুখরোচক সংবাদও প্রকাশিত হয় । অবশেষে কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে কোরিয়ার গণমাধ্যম কিম জং উনের ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করেছে। ছবিগুলোতে দেখা যায়, কিম একটি সার কারখানার উদ্বোধন করছেন।
গত ১২ এপ্রিল থেকে পহেলা মে পর্যন্ত কিম জং উনকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি। এমনকি ১৫ এপ্রিল তার প্রয়াত দাদা এবং দেশটির প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাংয়ের জন্ম বার্ষিকর আয়োজনেরও তিনি অনুপস্থিত থাকেন কিম জং উন।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি সবচেয়ে বেশি সময় লোক চক্ষুর আড়ালে ছিলেন। সে সময় তিনি প্রায় ৪০ দিন জন সম্মুখে আসেননি।
ওই সময় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন উন। অস্ত্রোপচারের পর তার অবস্থা সংকটজনক। আবার কেউ কেউ দাবি করেন, মারাই গেছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২ মে জনসম্মুখে হাজির হন তিনি। এর আবার তিন সপ্তাহ দেখা মেলেনি উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানান, হয়তো করোনা সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কের কারণে উন সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাচ্ছেন।
এ দিকে প্রকাশ্যে এসেই পারমাণবিক যুদ্ধ সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিলেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন। রোববার দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এ তথ্য জানিয়েছে।
টেলিভিশনে প্রচারিত দৃশ্যে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কার্স পার্টির শীর্ষ নেতারা বৈঠকে উনকে স্বাগত জানাচ্ছেন। দলের শক্তিশালী সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের বৈঠকে উনসহ কাউকে মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা যায়নি।
বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। একইসঙ্গে শত্রুবাহিনীর বড় বা ছোট সামরিক হুমকি মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়।
কেসিএনএ বলেছে, বৈঠকে ‘দেশের পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কৌশলগত সামরিক বাহিনীকে উচ্চ সতর্ক অভিযানে নিয়োজিত করার কথা বলা হয়।’ একইসঙ্গে গোলন্দাজ বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরতর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়’ আলোচনা হয়েছে।