সময় কাটাতে সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন ৪৯ বছর বয়সি থাইল্যান্ডের এক নারী। তখনই দেখেন ঢেউয়ের সঙ্গে সৈকতে ভেসে এসেছে আজব এক জিনিস। যা থেকে আবার মাছের মতো আঁশটে গন্ধ বের হচ্ছে। এরপরই সেটি বাড়ি নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে প্রতিবেশী এবং অন্যদের সেটি দেখানোর পরই জানতে পারেন, সেটি বহু মূল্যবান অ্যামবারগ্রিস বা ‘তিমির বমি’।
জানা যায়, ওই নারী যে অ্যামবারগ্রিসটি পেয়েছেন তার বাজারমূল্য আড়াই লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকারও বেশি।
‘তিমির বমি’ বা এই অ্যামবারগ্রিস আসলে বিশ্বের বৃহত্তম স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহেরই একটি অংশ। একে ‘ভাসমান সোনা’ এবং ‘সমুদ্রের গুপ্তধন’ও বলা হয়ে থাকে। মূলত ‘স্পার্ম হোয়েল’-এর শরীরেই এই জিনিসটি তৈরি হয়। সেখান থেকেই বমির মাধ্যমে এটি সমুদ্রে মিশে যায়। প্রথমে এর থেকে মাছের মতো আঁশটে গন্ধ বেরোলেই পরবর্তীতে খুবই সুন্দর গন্ধ বের হয়। আর এটি থেকেই সুগন্ধী তৈরি হয়।
জানা গেছে, সিরিপর্ন নিয়ামরিন নামে ওই নারী থাইল্যান্ডের নাখন সি থাম্মারাট প্রদেশের বাসিন্দা। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নিজের বাড়ির সামনে সমুদ্র সৈকতে বেড়ানোর সময়ই ওই জিনিসটি দেখতে পান তিনি। এরপরই সেটি বাড়ি নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে প্রতিবেশীরাই তাকে অ্যামবারগ্রিসের বিষয়টি জানান। এরপরই সেটি পরিষ্কারের পর দেখা যায়, ওই নারীর পাওয়া অ্যামবারগ্রিসটি ১২ ইঞ্চি পুরু এবং ২৪ ইঞ্চি লম্বা। জানা যায়, আন্তর্জাতিক বাজের সেটির দাম ২,৫০,০০০ মার্কিন ডলার।
আপাতত সিরিপর্ন ওই অ্যামবারগ্রিসটি বিক্রি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এই টাকা দিয়ে কী করবেন? এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে সিরিপর্ন জানান, ওই টাকা দিয়ে নিজের কমিউনিটির মানুষদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসবেন তিনি।
ভয়েস টিভি/এসএফ