কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে নাকাল জনজীবন। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। ৩১ জানুয়ারি রোববার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। মৌসুমেরও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিস বলছে এ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহ জুড়ে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির সেলসিয়াসের নিচে থাকার পর আজ হঠাৎ ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
শনিবার ৬টায় কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসেয়িাস। আজ তা কমে মৃদু থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
এদিকে টানা ৬দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় কুড়িগ্রামের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। জনশূন্য হয়ে পড়েছে রাস্তা ঘাট। সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দোকান পাট।
শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে দিনমজুর, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।
কুড়িগ্রামের ধরলা পাড়ের কৃষক চান মিয়া (৫০) জানান, ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। বোরো চাষের ভরা মৌসুম চললেও কনকনে ঠান্ডায় ঠিক মতো মাঠে কাজ করতে না পারায় ব্যহত হচ্ছে বোরো আবাদ। ফলে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছি আমরা।
প্রচন্ড ঠান্ডা এবং ঘনকুয়াশায় জুবুথুবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। দিনের অধিকাংশ সময় কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে চারদিক। প্রচন্ড ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সারারাত বৃষ্টির মতো ঝরতে থাকে শিশির। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহনকে চলাচল করতে হয় এ জেলায়।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, হঠাৎ করেই কুড়িগ্রামে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আজ সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কুড়িগ্রামে রেকর্ড করা হয়। যা এ মৌসুমেরও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
ভয়েস টিভি/এসএফ