আর পাঁচজন সাধারণের থেকে একটু ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সোহেলি পাল। আর তার সৃষ্টি সুখের উল্লাসে জন্ম নেয় নতুন ভুবন। যা অবাক করে গোটা বিশ্বকে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি এলাকার এই তরুণী দেশলাই দিয়ে তৈরি করলেন অনিন্দসুন্দর তাজমহল। সেই সৃষ্টির সৌজন্যেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিতে পারেন তিনি।
মুঘল সম্রাট শাহজাহান নিজের স্ত্রী মমতাজকে ভালবেসে তার স্মৃতিতে তাজমহল বানিয়েছিলেন। সোহেলিও তাজমহল গড়লেন। নতুন সৃষ্টির আনন্দে। এক-দুই নয়, তিন লাখেরও বেশি দেশলাই কাঠি ব্যবহার করে একেবারে হুবহু তাজমহলের ছবি বানিয়েছেন সোহেলি। যার উচ্চতা ৬ ফুট আর চওড়া ৪ ফুট।
সোহেলি জানান, রাতের তাজমহলকে দেশলাই কাঠির মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তোলার জন্য তিনি দুটি রং ব্যবহার করেছেন।
এর আগে ২০১৩ সালে ইরানের মেয়স্যাম রহমানি ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫১টি দেশলাই কাঠি দিয়ে ইউনেস্কোর লোগো তৈরি করে গিনেস বুকে নাম তুলেছিলেন।
সোহেলির আশা, এবার সেই নামকে ছাপিয়ে নয়া বিশ্বরেকর্ডের মালিক হবেন তিনি। গত আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে কাজ শুরু করেন সোহেলি। গিনেস বিশ্ব রেকর্ড কর্তৃপক্ষের তরফে আগেভাগেই সমস্ত গাইডলাইন জেনে নিয়েছিলেন। সেই হিসেবেই কাজ এগোয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সম্পূর্ণ তাজমহল গড়ে তার একটি ভিডিও কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এবার সুখবরের অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন সোহেলি ও তার পরিবার।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৮ সালে দুনিয়ার সবচেয়ে ছোট মাটির দুর্গা প্রতিমা গড়ে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী এই। ২.৫৪/১.৯৩/০.৭৬ সেন্টিমিটার আয়তন ও ২.৩ গ্রাম ওজনের মূর্তি বানিয়ে তাক লাগিয়েছিলেন সোহেলি। এবার তার হাতে তৈরি তাজমহল নতুন নজির গড়ার অপেক্ষায়।
আসলে পরিবারিক সূত্রেই এমন হাতের কাজের প্রতি ভালবাসা তার। সোহেলির বাবা ও ঠাকুরদা, দুজনেই মূর্তি গড়ার জন্য দেশটির রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন। সোহেলি বলেন, ‘বাবা-ঠাকুরদার এই ঐতিহ্যই বয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
আরও পড়ুন: ছিপ নিয়ে মাছও ধরি: প্রধানমন্ত্রী
ভয়েস টিভি/এসএফ