ভয়েস রিপোর্ট: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ রেমডেসিভি উৎপাদন করেছে দেশের খ্যাতনামা ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। উৎপাদনের সব প্রক্রিয়া শেষ করে ওষুধটি বাজারজাত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রস্তুতকৃত স্যাম্পল রোববার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে-এনসিএল জমা দেয়া হবে। তারা অনুমোদন দিলে কয়েকদিনের মধ্যেই এটি বাজারে আসবে।
শুক্রবার রাতে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালক ড. মুজাহিদুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এটি খুচরা মূল্য পড়বে পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা। এ ওষুধ কোনো সাধারন ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে না। সরাসরি সরকার নির্ধারিত কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে দেয়া হবে এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হবে। তাই চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী রোগীদের প্রয়োগ হবে। তবে বাইরের যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের দরকার নেই।
তিনি বলেন, মানুষের শিরায় ইনজেকশন হিসেবে এ ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। রোগের তীব্রতার ওপর ওষুধের ডোজ নির্ভর করবে। গুরুতর অসুস্থ রোগীর জন্য পাঁচ অথবা ১০ দিনের ডোজ প্রয়োজন হতে পারে। করোনার রোগীদের চিকিৎসায় মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি এ ওষুধ বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) গত সপ্তাহে করোনার ওষুধ হিসেবে রেমডেসিভিরকে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। আর জাপানের ওষুধ প্রশাসন ৭ মে থেকে ওষুধটি করোনার রোগীদের ওপর প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। তবে কবে নাগাদ জাপান উৎপাদনে যাবে, তা এখনও ঠিক হয়নি বলে সে দেশের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেস ওষুধটি উৎপাদনের জন্য ভারত ও পাকিস্তানের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলেও জানা গেছে। এ অবস্থায় এসকেএফই বিশ্বে প্রথম ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, যারা জেনেরিক (মূল/গোত্র) রেমডেসিভির উৎপাদন করতে সক্ষম হলো। এসকেএফের উৎপাদন করা রেমডেসিভিরের বাণিজ্যিক নাম ‘রেমিভির’।
36
previous post