ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই শিশুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী শান্তিডাঙ্গা এলাকার মুদি দোকানির মেয়ে।
শিশুটি তার কাছে প্রাইভেট পড়ত বলে জানা গেছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে প্রাইভেট পড়া শেষে চোখ ঝাড়ফুঁক দেয়ার নাম করে যৌন নির্যাতন করার চেষ্টা করেন ওই কর্মচারী। অভিযুক্ত ওই কর্মচারীর নাম আসলাম হেসেন। গ্রাম্য শালিসে মিমাংসার পর ১৫ সেপ্টেম্বর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
আসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত। একই সঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা যায়, আসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী শান্তিডাঙ্গার নিজ বাড়িতে গ্রামের স্কুল পড়ুয়া শিশুদের প্রাইভেট পড়ান। ১০ সেপ্টেম্বর তিনি প্রাইভেট পড়ানো শেষে ভুক্তভোগী শিশুর চোখে ছানি পড়েছে, এমন অজুহাতে ওই শিশুটিকে ঝাড়ফুঁক করে দেয়ার কথা বলে বাকি শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বলেন আসলাম।
অন্য শিশুরা আসলামের বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী আবেদ আলীর বাড়ির সামনে ওই ছাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। শিশুদের দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আবেদ আলীর স্ত্রী কল্পনা বিষয়টি সম্পর্কে শিশুদের থেকে অবগত হন।
পরে এলাকাবাসী আসলামের বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখেন। এ সময় জানালা দিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান শিশুটিকে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসলাম হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, ‘আমরা গ্রাম্যভাবে সামাজিক কায়দায় বিষয়টি মীমাংসা করে নিয়েছি। সম্মানার্থে আমরা আদালতে যেতে চাচ্ছি না।’
ওয়ার্ড সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ‘সালিশি মীমাংসায় উপস্থিত হয়ে আমি ঘটনাটি শুনেছি। ছেলে শপথ করে বলছে আমি এমন কিছু করিনি।
অন্যদিকে মেয়ে পক্ষ বলছে, যেহেতু ক্ষতি করতে পারেনি তাই উভয়পক্ষ সম্মতিতে সালিশের মাধ্যমে মাফ চেয়ে, মুচলেকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।
ভয়েস টিভি/এসএফ