নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট সিরাজুল ইসলামে (৬৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার সিরাজুল ইসলাম উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের আমানতপুর গ্রামের মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে এবং অবসরপ্রাপ্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট।
ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানা যায়, নির্যাতিতা ওই তরুণী উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাকে চাকরি দেয়া ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৮-৯ মাস নোয়াখালী ও ঢাকায় বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে এবার পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ
পরে ওই তরুণী বিয়ের জন্যে চাপ দিলে সিরাজুল ইসলাম নানা বাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে তার ছেলে মাহবুবুর রহমান মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুনী সিরাজুল ও তার ছেলে মাহবুবুর রহমানকে (৩৫) আসামী করে মামলা দায়ের করে। তবে এখনো মাহবুবকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মামলার প্রধান আসামি সিরাজুল ইসলামে (৬৫) আটক করা হয়। পরে দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ভয়েস টিভি/এমএইচ