রংপুরের হারাগাছে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ সদস্যের পাঁচদিন ও অন্য দুইজনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। ৪ নভেম্বর বুধবার দুপুরে শুনানী শেষে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা রাহেনুলের সাতদিন ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার দুই আসামির তিনদিন করে রিমান্ড আবেদন করি। আদালত রায়হানুলের পাঁচদিন ও অন্যদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পিবিআই ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকার ময়নাকুঠি কচুটারিতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। পরিচয়ের সময় রায়হানুল তার ডাক নাম রাজু বলে জানান ওই ছাত্রীকে।
প্রেমের সূত্র ধরে ২৫ অক্টোবর ওই ছাত্রীকে ক্যাদারের পুল এলাকার ডা. শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়াার বাড়িতে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন রায়হানুল। পরে ভাড়াটিয়া মেঘলা ওরফে আলেয়া ও তার সহযোগী সুরভি আক্তারের সহায়তায় আরও দুজন তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মেঘলা বেগমকে ও সুরভিকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হারাগাছ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আবুল কালাম আজাদ ও বাবুল হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
পিবিআই কর্মকর্তা এবিএম জাকির হোসেন জানান, আমরা বিষয়টি নিখুঁতভাবে তদন্ত করছি। ভুক্তভোগী যেন সঠিক বিচার পায় সেজন্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ভয়েস টিভি/এমএইচ