ফেনীতে ধর্ষণ বিরোধী লংমার্চের সমাবেশে হামলা চালিয়ে তিন সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জনকে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। ১৭ অক্টোবর শনিবার ফেনী শহরের শান্তি কোম্পানি মোড় এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা।
জানা গেছে, ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ শিরোনামে নয় দফা দাবিতে ঢাকা থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে লংমার্চের আয়োজন করা হয়। এর অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ১০ টায় ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের ফেনী জেলা সংগঠক সালমা আক্তার কলির সভাপতিত্বে ও ছাত্র ফ্রন্ট ফেনী শাখার সাধারণ সম্পাদক পংকজনাথ সূর্যের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের ফেনী জেলার সংগঠক জোবেদা আক্তার কচি, উদীচী ফেনী সংসদের সহসভাপতি মৌসুমি সোম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদি হাসান নোবেল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সভাপতি সীমা দত্ত প্রমুখ।
এসময় সমাবেশ শেষে শ্লোগান দিতে দিতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরের উদ্দেশ্যে তারা লংমার্চ শুরু করে। লংমার্চটি শহরের মিশন হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে দূর্বৃত্তরা তাদের হামলা চালায়। পরে আদালতপাড়া সংলগ্ন সুপার মার্কেটের সামনে পৌঁছালে দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয়।
এতে একাত্তর টিভির ফেনী প্রতিনিধি জহিরুল হক মিলু, ক্যামেরাম্যান এমএ সাজু, হকার্স প্রতিনিধি ইয়াছিন আরাফাত রুবেলসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীর ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা অভিযোগ করেন, লং মার্চ সহ্য করতে না পেরে ট্রাংক রোডে সমাবেশ শেষে তারা হামলা চালায়। এসময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ৬টি গাড়ি ভাংচুর করে। এতে আমাদের দু’শ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল জানান, লংমার্চকারীরা বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর ছবিতে ‘ধর্ষকদের পাহারাদার’ লেখায় সাধারণ মানুষ প্রতিহত করেছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন করলেও একটি চক্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিশীল করতে পাঁয়তারা করেছে।
ভয়েস টিভি/এমএইচ