Home ধর্ম ধর্ষণ সামাজিক অভিশাপ

ধর্ষণ সামাজিক অভিশাপ

by Amir Shohel
ধর্ষণ

শরিয়তে ধর্ষণ মহাপাপ। সমাজবিধ্বংসী মারাত্মক অপরাধ। পবিত্র কোরআনে ধর্ষণকে হারাম ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর হাদিসে তাকে সামাজিক অভিশাপ বলা হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, ‘এমন কোনো জনগোষ্ঠী নেই, যাদের মধ্যে ব্যভিচার (ও ধর্ষণ) বিস্তার করেছে আর তাদের মধ্যে মহামারি ও দুর্ভিক্ষ আসেনি—যেমনটি অতীত ইতিহাসে দেখা যায়নি।’ (মুসনাদে আহমদ)

ডেঙ্গু ও করোনাভাইরাসের মতো প্রাণঘাতী মহামারিগুলো প্রকৃতার্থে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধেরই কুফল। ধর্ষণ, ইভ টিজিং চলমান বিশ্বের ভয়ংকর চ্যালেঞ্জ। নারী নির্যাতনের জঘন্যতম পদ্ধতি। ধর্ষণ-ব্যভিচার প্রসারের কারণে মানবতা বিপন্ন হচ্ছে এবং বিঘ্নিত হচ্ছে সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা।

বাংলাদেশেও ধর্ষণের হার উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, এ দেশে ২০১৯ সালে এক হাজার ৪১৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়। আর ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭৩২। ধর্ষণের পর হত্যা ও আত্মহত্যা ইত্যাদি একই গতিতে বেড়ে চলেছে। সিলেট এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা দেশে নারীর সামাজিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।

নারীদের নিষ্ঠুর আচরণ থেকে রক্ষা করার সর্বোত্তম পন্থা হলো সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামী অনুশাসনের চর্চা, ইসলামী আইনের বাস্তবায়ন। সমাজের সবাই যদি ইসলামী আদর্শের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়, সচেতন হয়, প্রতিরোধ গড়ে তোলে, রাষ্ট্রীয় আইনের যথাযথ প্রয়োগ হয়, তবে আশা করা যায় ধর্ষণের প্রকোপ কমবে। বিশেষত রাজনৈতিক পরিচয়ে কোনো ধর্ষক যেন আইনের হাত থেকে রক্ষা না পায়, রাষ্ট্রকে তা নিশ্চিত করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে গণসচেতনা গড়ে তুলতে হবে।

ভয়েসটিভি/এএস

You may also like