নীলফামারীতে পৃথক দুই মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ থেকে এ রায় দেয়া হয়।
দণ্ডিতরা হলেন, ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান এলাকার ইয়াসিন আলীর ছেলে মকবুল হোসেন ও মতিয়ার রহমানের ছেলে হালিমুর রহমান এবং সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের সোনাখুলি গ্রামের বড়বাড়ি এলাকার জসর উদ্দিনের ছেলে আজগর আলী।
আদালত সুত্র জানায়, মকবুল হোসেনের মৃত্যুদণ্ড ও একলাখ টাকা জরিমানা এবং যাবজ্জীবন প্রাপ্ত হালিমুর ও আজগর আলীর ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর স্পেশাল পিপি আল মাসুদ আলাল জানান, ২০১৩ সালের ২৯ আগষ্ট রাতে আব্দুল গণির মেয়ে মৌসুমি নিখোঁজ হয়। পরদিন সকালে তিস্তা নদীর ধারে মেয়ের লাশের সন্ধান পান।
এ ব্যাপারে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করলে চার আসামীর মধ্যে মকবুলের মৃত্যুদন্ড ও হালিমুরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান এবং ছোবদুল ও মোমিনুর রহমানকে খালাশ দেন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মাহমুদুর রহমান।
এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্পেশাল পিপি রামেন্দ্র বর্ধণ বাপ্পী জানান, ধর্ষণের অভিযোগে ২০০৫ সালের ১৩ অক্টোবর শ্বশুড় আজগর আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ছেলে মোকছেদুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা।
মামলায় স্বাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে শ্বশুড়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক আহসান তারেক। দণ্ডিত আসামী পলাতক রয়েছেন বলে জানান তিনি।
ভয়েস টিভি/এমএইচ