Home ভিডিও সংবাদ নদী ভাঙনে দিশেহারা নড়াইলের মানুষ

নদী ভাঙনে দিশেহারা নড়াইলের মানুষ

by Newsroom
নদী ভাঙনে দিশেহারা

নড়াইল: মধুমতি নদী ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের চার গ্রামবাসী। নদী গর্ভে তলীয়ে গেছে শতাধিক বাড়িঘর, গাছপালা ও কৃষি জমি এছাড়া চরসুচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও নদীতে বিলীন হওয়ার পথে।

প্রায় ১০ বছর ধরে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলেও প্রতিরোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বারবার আবেদন করেও কোনো সুফল মেলেনি বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।

১১০ বছরের এই বৃদ্ধা কানে একটু কম শুনতে পেলেও চোখে দেখেন ঠিকই। এ এলাকার দীর্ঘদিনের নদী ভাঙনের দুঃখ-দুর্দশার জীবন্ত স্বাক্ষী তিনি। মধুমতি নদী ভাঙতে ভাঙতে এবার তার এই নারীর খুপড়ি ঘরেই হানা দিতে যাচ্ছে। শেষ সম্বল টুকু হারানোর আশংকায় চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের চরপরাণপুর গ্রামের বৃদ্ধা অজিরন নেসার মতো এ এলাকার শতাধিক মানুষ ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

এদিকে ভাঙনের কবলে পড়ে প্রায় এক বছর আগেই চরসুচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক একর ১০ শতক জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন টিনশেডের পাঁকাঘরটির কাছেই ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রায় ১০ বছর ধরে অব্যাহত ভাঙনের কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যাও কমেছে ব্যাপক হারে। এমনটিই জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষানুরাগীরা।

এ ব্যাপারে নড়াইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানেওয়াজ তালুকদার ভয়েস টিভিকে বলেন, চরসুচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রক্ষাসহ এ এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে গত বছর একটি প্রকল্প দাখিল করা হলেও পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে ৮ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে চরসুচাইল, চরপাঁচাইল, চরপরাণপুর ও চরঘোণাপাড়া নড়াইলের মানচিত্র থেকে মুছে যাবে-এমন আশঙ্কা এলাকাবাসীর।

ভয়েস টিভি/নড়াইল প্রতিনিধি/ টিআর

You may also like