ব্রহ্মপূত্র ও হলহলিয়া নদীর ভাঙন রোধে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের অফিস ঘেরাও করে। ১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে জেলার নদী বিচ্ছিন্ন রৌমারী ও চর রাজীবপুর এলাকার ভাঙন কবলিতরা এ কর্মসূচি পালন করে।
ভুক্তভোগীরা নৌকাযোগে এসে একটি মিছিল নিয়ে শহরে প্রবেশ করে। প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও করে তারা সমাবেশে মিলিত হয়। কুড়িগ্রাম জেলা ও রৌমারী উপজেলা বাসদ যৌথভাবে কর্মসূচি আয়োজন করে।
আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন, রৌমারী বাসদের আহবায়ক আবুল বাসার মঞ্জু, রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুস, কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয়ক কমরেড ফুলবর রহমান, রৌমারীর কমরেড সফিকুর রহমান, রমিচ উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা জানান, রৌমারীকে রক্ষা করতে হলে ব্রহ্মপূত্রের পূর্ব পাড়ে টেকসই বাঁধ নির্মাণ, নদী ভাঙণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পূনর্বাসন, অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ এবং রৌমারী রাজীবপুর থেকে কুড়িগ্রাম জেলা সদরে নৌপথে যাতায়াতের জন্যে সরকারিভাবে আধূনিক যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
দাবি মানা না হলে আগামি মার্চ মাসে ৩০টি অঞ্চলে মিছিল ও সমাবেশকরণ, এপ্রিল মাসে নদী ভাঙন প্রতিরোধে কনভেশন, মে মাসে জেলায় জেলায় স্মারকলিপি পেশ এবং লংমার্চসহ বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।
সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।
ভয়েস টিভি/এমএইচ
