কক্সবাজার: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বরখাস্তকৃত এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে আদালতে নেয়া হয়েছে।
কোর্ট পরিদর্শক প্রদীপ কুমার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে র্যাব কার্যালয় থেকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ’র আদালতে নেয়া হয়।
এর আগে রোববার এ ঘটনায় একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি লিয়াকত আলী। আদালতে টানা পৌনে ৫ ঘণ্টা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে তার গুলিতেই সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হয় বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় ১ নম্বর আসামি লিয়াকত আলী।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ। পরে ঘটনার বিচার চেয়ে টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহ’র আদালতে ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
ওই হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
১৩ আসামিরা হলেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ এবং টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আইয়াস।
সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে গত শুক্রবার তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডে নেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাব। তাদের মধ্যে একজন রোববার, নন্দদুলাল আজ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিচ্ছেন। মামলার অপর আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভয়েস টিভি/টিআর