পুলিশের নির্যাতনের বিরুদ্ধে টানা ছয়দিনের মতো রাস্তায় বিক্ষোভে ফুঁসে উঠছে নাইজেরিয়া । এরইমধ্যে সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তা ও বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানায়, পুলিশি নির্যাতনে একজন নিহতের ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে এলে আফ্রিকার এ দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী সার্স-এর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে গ্রেফতার, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ তোলে ।
এদিকে আন্দোলনের মুখে নাইজেরিয়া প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি বিতর্কিত সার্স বাহিনী বিলুপ্তির ঘোষণা দেন। অভিযুক্ত সার্সের সকল কর্মকর্তাদের বদলি করা হবে এবং এই বাহিনীর স্থলে নতুন একটি ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ চলছে জানায় নাইজেরিয়ার সরকার।
তবে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে পুলিশের অন্য ইউনিটে যুক্ত করার খবরে বিক্ষোভ চালিয়ে যায় জনতা।
১২ অক্টোবর সোমবার নাইজেরিয়া শহরে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ গুলি চালায়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর ছুড়ে মারে। এতে পরিস্থিতি আরও বেশি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এক পুলিশ কর্মকর্তা ও ৫৫ বছর বয়সী এক বেসামরিক লোক নিহত হন।
আরও পড়ুন- মাস্ক-বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল স্পেন
পুলিশ জানায়, তাদের এক কর্মকর্তা নিহত এবং দুইজন আহত। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অস্ত্রধারী ছিল বলে তারা দাবি করে।
এদিকে স্বাধীনতার ৬০ বছরের মধ্যে পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে এ প্রথম এমন বিক্ষোভ দেখল নাইজেরিয়া। তরুণরাই নেতৃত্ব দিচ্ছে এ বিক্ষোভের, অংশগ্রহণকারীরাও অধিকাংশ তরুণ। বিক্ষোভে অংশ নেয়া এসব তরুণের বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। জন্মের পর থেকে এখনো তারা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দেখা পায়নি। বিনামূল্যে শিক্ষার দেখাও তারা পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকদের একের পর এক ধর্মঘটের কারণে সেশন জটে পড়ে তাদের শিক্ষা জীবন দীর্ঘায়িত হয়েছে।
এমন পরিস্থিতি পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নাইজেরিয়ার তরুণেরা।
ভয়েস টিভি/ডিএইচ