Home বিনোদন করোনায় থমকে আছে নাট্যাঙ্গন

করোনায় থমকে আছে নাট্যাঙ্গন

by Newsroom
নাট্যাঙ্গন

দেশে করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ কোভিড-১৯। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। নাট্যাঙ্গন জুড়েও করোনার ত্রাস। একের পর এক কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন তারকারা। আর এর মধ্যেও ঘরোয় পরিবেশে ঈদের নাটকের কাজ করতে দেখা গেছে। কিছুদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন আবুল হায়াৎ। তিনি এরোমধ্যেই সেরে উঠছে। এরমধ্যেও করোনায় আক্রান্ত আছে একাধিক পরিচালকরাও। তারকা আর পরিচালকের আক্রান্তের খবরে অনেকেই কাজ থেকে নড়েচড়ে বসেতে দেখা গেছে।

ঈদে প্রতিবারের মতো ব্যস্ত সময় পার করলেও এবারের ঈদে করোনা পরিস্থিতিতে কোন কাজ করছেন না পরিচালক মোস্তফা কামাল রাজ।
করোনায় ঈদের নাটক নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘লকডাউন আর বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ঈদের কোন কাজ করছি না। আমার আগে কিছু নাটক নির্মাণ করা রয়েছে সেগুলি দর্শক এই ঈদে দেখতে পারবে।’ এছাড়াও তিনি বলেন, ‘আমাদের বেঁচে থাকাটা আগে দরকার। করোনায় আমাদের কাছের মানুষগুলি প্রাণ হারাচ্ছে। সেই জায়গা থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঈদের আগে করোনা পরিস্থিতি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল শুটিংকে না বলেছি।
এদিকে নাটকের পরিচালক রাফাত মজুমদার রিংকু বলেন, ‘মিডিয়া আর নাটক পাড়ার ঈদ হচ্ছে সব থেকে বড় উৎসব। চলচ্চিত্রের বাজার তেমন চাঙ্গা না থাকতে দেখা গেলেও দেশিয় সংস্কৃতির বাজারে নাটক বেশ তুঙ্গে। সেখানে করোনায় এই অঙ্গন বেশ স্থবির হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই ঈদে আমার একাধিক কাজ করার কথা থাকলেও লকডাউন আর করোনা পরিস্থিতির কারণে কোন কাজ করছি না। আমরা যেহেতু যে আর্টিষ্ট নিয়ে কাজ করি তারাই এই করোনা মহামারী পরিস্থির কারণে তারাও কাজ থেকে সরে রয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি শেষ হলে হয়তো সবাই মিলে আবার নতুন করে কাজ শুরু করা যাবে। আগে আমাদের বেঁচে থাকাটা জরুরি।’

অপর পরিচালক মোহন আহমেদ করোনায় বন্ধ রেখেছেন একাধিক নাটকের শুটিং। তিনি বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে আমার ১৪-১৫ এবং এ মাসের ২০-২১ তারিখ শুটিং ছিল। লকডাউন আর করোনায় বন্ধ করে দিয়েছি। ঈদের আগেও কোন শুটিং করছি না।’

তিনি বলেন, অনেকেই স্বাস্থবিধি মেনে শুটিং এর কথা চিন্তা করলেও শুটিং গিয়ে তা আর হয়ে উঠে না। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঈদের আগে কেন, করোনা পরিস্থিতি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন কাজই করছি না।’

পরিচালক মহিদুল মহিম করোনা আক্রান্ত হলেও বর্তমানে তিনি সুস্থ্ রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থবিধি মেনে শুটিং এর কথা থাকলেও শুটিং এ গিয়ে কেউ তা পালন করে না। আমিও করোনা থেকে সবে মাত্র সুস্থ হয়েছি। এখানে সুস্থ হওয়াটা বড় কথা নয়। বড় কথা হলো পরিবারের কথা চিন্তা করে হলেও সবাইকে নিরাপদ থাকতে হবে। প্রতিবারের মতো ঈদের নাটকে একাধিক কাজ করার কথা থাকলেও লকডাউন আর করোনা পরিস্থিতির জন্য সকল প্রকার নির্মাণ থেকে সরে থাকতে দেখা যায় এই পরিচালকেও।’

প্রসঙ্গত, প্রতি ঈদের বাজার প্রায় ৬ কোটি টাকার নাটক নির্মাণ হতে দেখা যায় এই সকল বেসরকারী টেলিভিশনগুলি সেই জায়গা থেকেই এবারের ঈদকে সামনে রেখে একাধিক নাটক নির্মাণ করার কথা থাকলেও দুই লকডাউনে থমকে গেছে শোবিজ অঙ্গন।

ভয়েস টিভি/ডি

You may also like