Home বিনোদন শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিতও হন বলিউডের এই নায়িকা

শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিতও হন বলিউডের এই নায়িকা

by Shohag Ferdaus
নায়িকা

নায়িকা হবেন বলে সপ্তম শ্রেণিতেই পড়াশোনায় ইতি। বলিউডের পাশাপাশি দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও। এখন ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিস্মৃত বিগত দশকের ব্যস্ত নায়িকা রম্ভা। গত দশকের এই জনপ্রিয় নায়িকা ব্যক্তি জীবনে শ্বশুরবাড়ির লোকদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে মামলাও করেছিলেন।

রম্ভার জন্মগত নাম বিজয়লক্ষ্মী। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় তার জন্ম ১৯৭৬ সালের ৫ জুন। তার স্কুলের এক অনুষ্ঠানে দর্শকাসনে হাজির ছিলেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক হরিহরণ। তিনি বিজয়লক্ষ্মীকে সুযোগ দেন মালয়লম ছবি ‘সরগম’-এ। প্রথম ছবিতে অভিনয়ের আগে নিজের নতুন নাম তিনি নেন ‘অমৃতা’। পরে সেটা পাল্টে আরও একটি নতুন নাম নেন ‘রম্ভা’। সেই নামই পরবর্তী সময়েও থেকে যায় তার পরিচয় হিসেবে।

তেলুগু, তামিল, কন্নড় এবং হিন্দি-সহ মোট সাতটি ভারতীয় ভাষায় অভিনয় করেছেন রম্ভা। ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে অভিনয় করেছেন ‘দাদা’, ‘চিতা’ এবং ‘রিফিউজি’ নামে তিনটি বাংলা ছবিতেও।

রম্ভার প্রথম বলিউড অভিযান ১৯৯৫ সালে। অভিনয় করেন ‘জল্লাদ’ ছবিতে। এর পর ‘জুরমানা’, ‘জঙ্গ’, ‘দানবীর’, ‘কাহার’-সহ বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেন। কিন্তু পরিচিতির জন্য অপেক্ষা করতে হয় বছর দুয়েক।

১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় ‘জুড়ুয়া’। সালমান খানের বিপরীতে এই ছবিতে রম্ভার অভিনয় সুপারহিট হয়। এই ছবি থেকেই বলিউডে ধীরে ধীরে নিজের পরিচিতি তৈরি করেন তিনি।

প্রথম দিকে তার সঙ্গে দিব্যা ভারতী এবং শ্রীদেবীর সাদৃশ্য় খুঁজে পেতেন দর্শকরা। বলিউডে পর পর বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। বিপরীতে নায়ক ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী, অক্ষয়কুমার, অজয় দেবগণের মতো তারকারা। কিন্তু বলিউডে একই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে ভালো লাগছিল না রম্ভার। বেশির ভাগ ছবিতেই তাকে দেখা যাচ্ছিল আইটেম ডান্সারের ভূমিকায়। ২০০২ সালে রম্ভার শেষ হিন্দি ছবি ‘প্যায়ার দিওয়ানা হোতা হ্যায়’ মুক্তি পায়।

পরের বছর কেরিয়ারে কিছুটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন রম্ভা। ভাইয়ের সঙ্গে মিলে শুরু করেন প্রযোজনা সংস্থা। মুক্তি পায় তাঁদের সংস্থার প্রথম ছবি ‘থ্রি রোজেস’। কিন্তু ছবিটি বক্সঅফিসে ব্যর্থ হয়। রম্ভা বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।

ঋণশোধ করার জন্য রম্ভা তার বাংলো অবধি বন্ধক রাখতে বাধ্য হন।এমনকি, তার নামে মামলাও করেন এক পাওনাদার। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন রম্ভা।

২০১০ সালে কানাডাবাসী ব্যবসায়ী ইন্দ্রকুমারকে বিয়ে করেন রম্ভা। বিয়ের পর থেকে তিনি টরন্টোবাসী। দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে সেখানেই সংসারী রম্ভা।

কিন্তু বিবাহিত জীবনের সূত্রপাতেই বড় ধাক্কা। নিউজিল্য়ান্ডে মধুচন্দ্রিমার সময়ে রম্ভা জানতে পারেন তার স্বামী বিবাহিত। প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে ডিভোর্স না করেই তিনি বিয়ে করেছেন রম্ভাকে। এই কথা জানার পরেও রম্ভা ডিভোর্সের পথে যাননি।
এসময় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন রম্ভাকে নির্যাতন করেছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বিবাহবিচ্ছেদের মামলাও করেছিলেন রম্ভা। সেই মামলায় রম্ভা তার স্বামীর কাছ থেকে প্রতি মাসে আড়াই লক্ষ টাকা ভরণপোষণ দাবি করেছিলেন। নায়িকার বক্তব্য ছিল, তার স্বামীর প্রতি মাসে পঁচিশ লক্ষ টাকা উপার্জন। ফলে ওই অঙ্কের টাকা তাকে ভরণপোষণের জন্যে দেয়া তার কাছে কোনো ব্যাপারই নয়।

বলিউডের বিগত তারকা রম্ভা এখন ইন্ডাস্ট্রির রোশনাই থেকে বহুদূরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সংসারী ছবি দেখে সবার ধারণা, টিনসেল টাউনে ফিরে আসার ইচ্ছেও তার নেই। অতীতের সুপারস্টার এখন ব্যস্ত ঘরকন্নায়।

আরও পড়ুন: শান্ত খানের ৬ ছবির নায়িকা দীঘি

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like