বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে ফেনীর স্বাস্থ্য সহকারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এতে জেলার প্রায় ১৫ হাজার মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জেলার ৬ উপজেলায় ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলছে স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মবিরতি। এতে জেলার স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ফেনী জেলার সভাপতি মেজবাহ উদ্দি বলেন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে জেলায় এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
সদর উপজেলার হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসাসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ফারুক চৌধুরী জানান, দেশের সব মহামারিকালে আমরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করি। এমনকি দেশে করোনা শুরু হলে নিজেদের করোনা আক্রান্তের ঝুঁকির কথা ভুলে গিয়ে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গার্মেন্টস কর্মী, ঢাকা থেকে আসাসহ বিদেশ ফেরতদের তালিকা তৈরি করে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছি। পাশাপাশি নিয়মিত ইপিআই কর্মসূচিসহ অন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের এক মহাসমাবেশে আমাদের (স্বাস্থ্য সহকারী) বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে ২ জানুয়ারি তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেন। এছাড়া চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আমরা হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন বর্জন করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালক আমাদের দাবি মেনে নিয়ে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। সে অনুযায়ী আমারা এখানো কোনো সুবিধা পাইনি। আমাদের এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন চাই।
ফেনী সদর উপজেলার সোলতান পুর গ্রামের নুর আহমেদ জানান, স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মবিরতির কারণে আমরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
ভযেস টিভি/ডিএইচ