Home রাজনীতি ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি’র অংশগ্রহণ’

‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি’র অংশগ্রহণ’

by Newsroom
তথ্যমন্ত্রী

নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তাদের কথাতেই এটি প্রতিফলিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেন’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার উপায় নেই’ মন্তব্যের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে বলবো, তারা যে পথে হাঁটছে, যেভাবে নির্বাচন বানচাল করার জন্য অতীতে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছেন, বানচাল করতে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন, এটি দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। সুতরাং আজকেও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে অপচেষ্টা, সেটিও মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শক্তিশালী বিরোধী দল থাকলে দেশে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি নিজেদের মধ্যে অনৈক্য ঘুচাতে এবং শক্তিশালী হতে পারছে না।

বিএনপি যদি তাদের এই ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার না করে, পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে হত্যার পথ পরিহার না করে, তাহলে বিএনপির পক্ষে কখনো আর জনগণের প্রিয় হওয়ার কোনও সুযোগ নাই।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি জানে যে তারা এই নির্বাচনে পরাজিত। এটি জেনেই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। বহু আগে থেকে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যেই তারা এই কথাবার্তাগুলো বলে আসছে, আজকেও সে একই কথার প্রতিধ্বনি।

ড. হাছান বলেন, বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মূল উদ্দেশ্য, নির্বাচনকে বিতর্কিত করা এবং নির্বাচন শেষে একগাদা অভিযোগ নিয়ে তারা হাজির হয়। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে সংস্কৃতি তারা লালন করছে, সাত সমুদ্র-তেরো নদীর ওপারের অনেকের সাথে এটি মিলে যাচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী এসময় শহীদ নূর হোসেনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনে নূর হোসেনের জীবন্ত পোস্টার দেশের ইতিহাসে জীবন্ত হয়েই থাকবে, গণতন্ত্রের ইতিহাসে তার নাম সবসময় রক্তাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।

ভয়েস টিভি/টিআর

You may also like