Home সারাদেশ নির্বাচনের সময় বাড়াতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে ইসি

নির্বাচনের সময় বাড়াতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে ইসি

by Newsroom

ভয়েস রিপোর্ট: নির্বাচনের সময় অতিবাহিত হতে যাওয়া জাতীয় সংসদের শূন্য আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানে সময় বাড়াতে রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে নির্বাচন কমিশন। ঈদুল ফিতরের পর কমিশন রাষ্ট্রপতি সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সময় বাড়ানোর বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
বুধবার (২০ মে) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এ তথ্য জানান। সিইসি অনলাইন জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম এবং কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএসএম) সম্পর্কিত অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে এসব বলেন। এর আগে তিনি জুম মিটিং এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্ত থেকে অনলাইন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।
মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের শূন্য আসনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন (উপনির্বাচন) অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা হয়েছে। দৈব-দুর্বিপাকে এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব না হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে পারেন। জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিইসিকে সংবিধান ক্ষমতা দিয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে সম্ভব না হলে নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শ করে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করতে পারে। এই সুযোগ রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার সময় এখনও হয়নি। ঈদের পর রাষ্ট্রপতির কাছে যাবেন বলে জানান তিনি। সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুর কারণে গত ২ এপ্রিল শূন্য হওয়া পাবনা-৪ আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য রাষ্টপতির কাছে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা জানান সিইসি।
গত ২৯ মার্চ যশোর-৬ এবং বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ভোট গ্রহণের সপ্তাহখানেক আগে তা স্থগিত করা হয়। আসন দুটির মধ্যে বগুড়া-১ শূন্য হয় ১৮ জানুয়ারি এবং যশোর-৬ শূন্য হয় ২১ জানুয়ারি। ইতোমধ্যে আসন দুটির উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের ৯০ দিন পার হয়েছে। সংবিধান প্রদত্ত সিইসির হাতে থাকা পরবর্তী ৯০ দিন পার হবে যথাক্রমে ১৫ ও ১৮ জুলাই। এরমধ্যে ভোট করতে না পারলে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে সময়ের আবেদন করতে হবে।
এদিকে, পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রথম ৯০ দিন শেষ হবে আগামী ৩০ জুন।
মেয়াদোত্তীর্ণ স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ করে সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ। তারা যেভাবে বলবে নির্বাচন কমিশন সেই ভাবে নির্বাচন করবে। আপদকালীন কোনও কারণে সময় মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে, সরকার নির্বাচন স্থগিত রাখতে পারে, পিছিয়েও দিতে পারে।

You may also like