ফেনীর ফাজিলপুরে যৌতুকের দাবিতে নির্মম নির্যাতিতা গৃহবধূ রাশেদা আক্তার (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ১৫ নভেম্বর রোববার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকল কলেজ হাসপাতালে আটদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়।
নিহত গৃহবধূ ফেনী সদর উপজেলার দক্ষিণ ফাজিল পুর গ্রামের ওমান প্রবাসী রায়হানউদ্দিন রুবেলের স্ত্রী।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করে।
মামলার এজাহার সুত্র জানায়, প্রায় সাত বছর আগে ফেনী সদর উপজেলার উত্তর ফাজিলপুর লস্কর তালুক এলাকার আবুল কালামের মেয়ে রাশেদা আক্তারের সঙ্গে একই এলাকা দক্ষিণ ফাজিলপুর গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে রায়হান উদ্দিন রুবেলের বিয়ে হয়। তাদের দুই বছরের একটি ছেলেও রয়েছে।
রাশেদার স্বামী রুবেল ওমান প্রবাসী। শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যরা প্রায়ই যৌতুকের জন্যে রাশেদাকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করতো। এছাড়া স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে দেবর রাশেদ উদ্দিন রনি বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিত। এতে রাশেদা সাড়া না দেয়ায় সেও ক্ষিপ্ত ছিল।
গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাশেদাকে দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্যে চাপ দিলে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে শাশুড়িসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে তাকে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় তারা রাশেদার মাথা দেয়ালের সঙ্গে আঘাত করে। এতে সে গুরুত্বর আহত হয়।
ঘটনার পর প্রথমে এলাকার একজন পল্লী চিকিৎসক দেখানো হয়। খবর পেয়ে গৃহবধু রাশেদার বাবা ফেনীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদা মারা যায়।
আরও পড়ুন : দেয়ালে প্রতিবাদী গ্রাফিতি
ফেনী সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আলমগীর হোসেন জানান, যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত অনুসারে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভয়েস টিভি/এমএইচ