মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম বহির্ভূত সহকারী প্রক্টর পদে এক প্রভাষককে নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
গত ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার ড. মো: তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক শাহীন মাহমুদকে সহকারী প্রক্টর পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
মাভাবিপ্রবি আইন ২০০১ অনুযায়ী প্রক্টর নিয়োগ নীতিমালা উল্লেখ আছে, বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস-চ্যান্সেলর নূন্যতম সহযোগী অধ্যাপকদের মধ্য থেকে প্রক্টর নিয়োগ ও সহকারী অধ্যাপকদের মধ্য থেকে সহকারী প্রক্টর নিয়োগ করবেন। একজন সহকারী প্রক্টর প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা ও মোবাইল বিল বাবদ তিনশ টাকা সম্মানী পাবেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য সহকারী অধ্যাপক থাকলেও ওই প্রভাষককে প্রক্টর পদে নিয়োগ দেয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন- ৩ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের অনুমোদন
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহীন উদ্দিন বলেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে একজন প্রভাষককে সহকারী প্রক্টর পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালায় পড়ে না। এ ধরণের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে শিক্ষক সমিতি থেকে লিখিতভাবে অভিযোগ করলেও কর্তৃপক্ষ আমলে নেয় না।
মাভাপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বাবদ্যালয় প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই কার্যকর হবে। এছাড়া যিনি ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক থাকেন তাকেই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন বলেন, সহকারী প্রক্টর নিয়োগে তেমন কোন নিয়ম নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন শিক্ষককে প্রক্টর নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে অধ্যাপক বা সহযোগি অধ্যাপক লাগে না।
ভয়েস টিভি/এমএইচ