Home সারাদেশ নোয়াখালীতে সেজেছে ১৩১ মণ্ডপ, তবে হচ্ছে না ‘দূর্গোৎসব’

নোয়াখালীতে সেজেছে ১৩১ মণ্ডপ, তবে হচ্ছে না ‘দূর্গোৎসব’

by Newsroom

প্রতি বছর দেশসেরা ও ব্যায়বহুল পূজা অনুষ্ঠিত হতো নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক নগরী বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে। গত বছর ২০১৯ সালে চিত্রকর্ম ও প্রতিমার মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট তুলে ধরে জায়গা করে নিয়েছিলো বিশ্ব গণমাধ্যমে।

এর আগের বছর ২০১৮ সালে ৭১ ফুট দীর্ঘ প্রতিমা তৈরিসহ ব্যতিক্রম আয়োজন করে দেশ-বিদেশে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিলো।

তবে করোনার কারণে এবার নেই সেই জমকালো আয়োজন, হবে না দূর্গোৎসব। মা দূর্গা আসবে অনেকটা নিরবে। আসবে দোলায় এবং বিদায় নিবে গজে। পঞ্জিকা মতে আগামী ২৬ অক্টোবর মহাদশমীর মাধ্যমে শেষ হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসব।

এ বছর নোয়াখালীর নয়টি উপজেলার ১৩১ স্থানে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। তবে এবার মণ্ডপের সংখ্যা কমে যাওয়ায় কমেছে প্রতিমা তৈরির কাজও। তাই বাধ্য হয়ে কম পারিশ্রমিকে প্রতিমার কাজ করছেন কারিগররা। রং ও কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

তবে দূর্গা মায়ের প্রতি সনাতন ধর্মালম্বীদের আশা, করোনার কারণে এবার না হলেও আগামীতে যেনো তারা সবাইকে নিয়ে আবারও জাঁকজমক দূর্গোৎসব করতে পারে।

চৌমুহনী ত্রিনয়নী পূজা মণ্ডপের সভাপতি প্রদীপ নারায়ণ সাহা জানান, আগের বছরগুলোতে দূর্গাপূজায় নোয়াখালীর মণ্ডপগুলো থাকত উৎসব মূখর। দেশ-বিদেশ থেকে দর্শনার্থী আসতো। ঢাক-ঢোলের সঙ্গে মেতে উঠত সবাই। এবার সেটা নেই বললেই চলে। করোনার কারণে ম্লান হয়ে গেছে আমেজ। বেশিরভাগ মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নোয়াখালী শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট পাপ্পু সাহা জানান, এবার দুর্গাপূজা পালন হলেও হচ্ছে না উৎসব। থাকছে না আরতী, মেলা বা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা।

স্বা্স্থ্যবিধি মেনে পূজা মণ্ডপে প্রবেশ করতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজা মণ্ডপের প্রবেশ পথে নো মাস্ক নো এন্ট্রি লিখা সম্বলিত স্টিকার দেয়া থাকবে।

জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, নিরাপদে পূজা উদযাপনের জন্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মণ্ডপগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like