বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সড়কপথে বিশেষ সাজে নৌকা নিয়ে করোনাভাইরাস সচেতনতামূলক প্রচারে নেমেছে খুলনার কয়রা উপজেলার মিনারুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার, শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে প্রচার করছেন নানা তথ্য। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানুষের মাঝে মাস্কও বিতরণ করছেন মিনারুল।
মিনারুল ইসলাম খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের নাকশা গ্রামের মোকছেদ সরদারের ছেলে। ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠাণে চাকরি করেন তিনি। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন ঢাকাতে।
ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের ওপর বিশেষ কায়দায় নির্মিত সু-সজ্জিত নৌকায় চড়ে দেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করবেন বলে জানিয়েছেন মিনারুল।
১১ এপ্রিল রোববার সকালে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌকায় চড়ে সড়ক পথে সাতক্ষীরা শহরে প্রচারে নামেন তিনি। নৌকাটি দেখেই ভিড় লেগে যায় কৌতুহলী মানুষের।
সাতক্ষীরা শহরের নিউ মার্কেট মোড়, শহীদ আব্দুর রাজ্জক পার্ক, প্রেসক্লাব মোড়, কলেজ মোড়, তুফান কোম্পানির মোড়, সাতক্ষীরা বাস টার্মিনাল, নারিকেল তলার মোড়, আশাশুনিসহ বিভিন্ন এলাকায় নৌকায় চড়ে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচারসহ করোনা নিয়ে মানুষকে সচেতন করেন এই যুবক।
মিনারুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে নিজের পাঁচ কাঠা জমি বিক্রি করে গত ১৭ মার্চ সড়কপথে নৌকা ভ্রমণে বের হয়েছেন। ঢাকা, খুলনাসহ এ পর্যন্ত ২৮টি জেলা ভ্রমণ করেছি। পর্যায়ক্রমে ৬৪টি জেলা ভ্রমণ করব আমি। উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সব ভাষণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সামনে তুলে ধরা। শেখ হাসিনার উন্নয়নের চিত্র মানুষকে জানানো ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করা।
মিনারুলের নৌকায় সিসি ক্যামেরা, নিজস্ব জেনারেটর, প্রচার মাইক, হ্যান্ড মাইক, আটটি ব্যাটারি, ল্যাপটপ, ভিডিও ক্যামেরা, আগুন নিভানোর গ্যাস সিলেন্ডার, বিভিন্ন ধরনের ব্যানার-ফেন্টুন লাগিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজিব ওয়াজেদ জয়, মাওলানা ভাসানী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকসহ জাতীয় নেতাদের ছবি রয়েছে নৌকার গায়ে।
ইজিবাইকের উপর বিশেষ পদ্ধতিতে নৌকাটি তৈরি করতে তার সময় লেগেছে এক মাস। মিনারুল ইসলাম আরও জানান, নৌকাটি সাজাতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। কয়রায় তার নিজের নামীয় ৫ কাঠা জমি বিক্রি করে ৮ লাখ টাকা এবং নিজের গচ্ছিত আরও ৫ লাখ টাকা নিয়ে তিনি বের হয়েছেন। ৬৪ জেলা ভ্রমণ করতে ১৩ লাখ টাকা তার খরচ হবে। নৌকাযোগে প্রতি ঘণ্টায় ২৫-৩০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করা যায়।
৬৪ জেলা ভ্রমণ শেষে নৌকাটি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, নৌকায় সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সিসি ক্যামরা থাকা ফুটেজও বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে তুলে দিতে চাই। গ্রামের মানুষ বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে কত ভালোবাসেন সেটির প্রমাণ মিলবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশ কোনো খুনির দেশ নয়, বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশ’