Home শিক্ষাঙ্গন বাতিল হচ্ছে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা

বাতিল হচ্ছে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা

by Newsroom
পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির

ঢাকা: চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা হচ্ছে না। বাতিল হচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বড় দুই পাবলিক পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের এবার বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে পাস করানোর চিন্তাভাবনা চলছে।

এ বিষয়ে গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউসের উপস্থিতিতে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের একটি বৈঠক হয়। সেখানে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে উভয় মন্ত্রণালয়ে পৃথক দুটি সারসংক্ষেপ তৈরি হচ্ছে। আগামী রোববারের মধ্যে এটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হতে পারে বলেও জানা গেছে। দুই মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষার সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া যাবে না। যেহেতু করোনা পরিস্থিতিতে কবে প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে তা আমরা জানি না। তাই একাধিক বিকল্প হাতে রেখে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা তৈরি কাজ শুরু করা হয়েছে।

এই দুই স্তরে পাবলিক পরীক্ষা না হলেও শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে। এই পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে মেধাবৃত্তি দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলেও জানায় সংশ্লিষ্টরা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসে শ্রেণি কার্যক্রম সমাপ্তির লক্ষ্য ধরে কারিকুলাম ও সিলেবাস মূল্যায়নের কাজ করছে নেপ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন,  করোনা সময়ে শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণে কোনো মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে, সে সংক্রান্ত একটা খসড়া প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। সবার মতামত আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এ নিয়ে এনসিটিবি কাজ করবে।

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। সে হিসেবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৮৮টি কর্মদিবস নষ্ট হচ্ছে। এর আগে ১৬ মার্চ পর্যন্ত মাত্র ৪১ দিন কর্মদিবস পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এ সময়ে তেমন একটা লেখাপড়া হয়নি।

ভয়েস টিভি/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ টিআর

You may also like